9.5 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করছে টরন্টোর সিককিডস হাসপাতাল

রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করছে টরন্টোর সিককিডস হাসপাতাল
ফাইল ছবি

প্রদেশজুড়ে শ্বাসতন্ত্রের রোগী বেড়ে যাওয়ায় টরন্টোর হসপিটাল ফর সিক চিলড্রেন (সিককিডস) থেকে অন্যান্য হাসপাতালে রোগী স্থানান্তরও বেড়ে গেছে। হাসপাতালের একজন মুখপাত্র সিটিভি নিউজ টরন্টোকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে তারা প্রতিদিন দুই থেকে আটজন রোগীকে কমিউনিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করছেন। সিককিডস যে পর্যায়ের সেবা দিতে পারদর্শী স্থানান্তর করা রোগীদের সে ধরনের সেবার প্রয়োজন নেই।

- Advertisement -

মুখপাত্র জেসমিন লাক বলেন, রোগী স্থানান্তরের জন্য শিশু ইউনিট রয়েছে এমন সব কমিউনিটি হাসপাতাল অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে সিককিডস। সময়মতো এসব রোগীকে স্থানান্তর যেসব সেবা সিককিডসে বা অন্য শিশু হাসপাতালেই কেবল আছে সেগুলো প্রদানে সামর্থ্য বাড়িয়ে দিচ্ছে।

রোগী স্থানান্তর ও প্যারামেডিক সেবায় পিল ও ইয়র্ক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ইএমএস ভেহিকল সহায়তা দিচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে। ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা ১৩ জন রোগীকে স্থানান্তরও করেছে। লাক বলেন, ৪ ডিসেম্বর থেকে সিককিডসের নিয়মিত নির্ধারিত ইএমএস ভেহিকল সেবা রয়েছে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা, আরএসভি ও কোভিড-১৯ এর মিলিত সংক্রমণে চাপের মধ্যে রয়েছে সিককিডস। এর পরিপ্রেক্ষিতেই হাসপাতালটির রোগী স্থানান্তরের সাম্প্রতিক এই উদ্যোগ। চাপ কমাতে নভেম্বরে কিছু অস্ত্রোপচার বন্ধ রেখেছিল সিককিডস। সেইে সঙ্গে ক্রিটিক্যাল কেয়ার সেবা চালু রাখতে কিছু কর্মীকে অন্য থেকে এখানে আনা হয়েছিল। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২৭৯টি অস্ত্রোপচার বাতিল করেছে। ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ হাজার ১৫৭টি শিশু বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রোপচারের অপেক্ষায় ছিল।

রোগীর বচাপ বেড়ে যাওয়ায় ভার্চুয়াল জরুরি সেবা কর্মসূচিও চালু করতে হয়েছে সিককিডসকে। ভার্চুয়াল সেবাগ্রহীতার সংখ্যা ৪০ জন থেকে বেড়ে অক্টোবর ও নভেম্বরে ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নার্সদের ওপর থেকে চাপ কমাতে ইমার্জেন্সি মেডিসিন টেকনিশিয়ানদের রক্ত সংগ্রহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

সিককিডসের জরুরি বিভাগে রোগীদের জন্য শয্যা রয়েছে ৩৯টির মতো। কিন্তু সম্প্রতি রোগীর সংখ্যা জরুরি বিভাগ ছাড়িয়ে পাশর্^বর্তী অর্থোপেডিক ক্লিনিক পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। সিককিডসের জরুরি বিভাগের বছরে ৬৫ হাজার রোগীকে সেবা দেওয়ার মতো তহবিল ও কর্মী রয়েছে। কিন্তু চলতি বছর রোগীর সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles