13.2 C
Toronto
রবিবার, মে ৫, ২০২৪

ভাঙা মেরুদন্ড নিয়েই ৪,৮০০ কিমি সাঁতরালো তিমি

ভাঙা মেরুদন্ড নিয়েই ৪,৮০০ কিমি সাঁতরালো তিমি
জাহাজের আঘাতে তার মেরুদন্ড ভেঙে গিয়ে এস আকৃতি পাওয়ার পর ব্রিটিশ কলাম্বিয়া থেকে হাওয়াই পর্যন্ত আট ঘণ্টারও কম সময় সাঁতরেছে মুন

মেরুদন্ড গুরুতর জখম থাকায় কেবলমাত্র দুই পাশের ডানা ব্যবহার করেই ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ও হাওয়াইয়ের মধ্যে ৪ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছে একটি হাম্পব্যাক তিমি। একে জাহাজের সঙ্গে আঘাতের হৃদয়বিদারক ঘটনা বলে মনে করছেন গবেষকরা।

বি,সি হোয়েলসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান গবেষক জেনি রে বলেন, মুন নামে পরিচিত তিমিটির এটাই হয়তো শেষ যাত্রা। সে মারা যাবে। এ থেকে সেরে ওঠার আর কোনো সুযোগ তার নেই। সত্যি বলতে কি, খুব দ্রুতই সে চলে যাবে। সম্ভবত সে অনেক কষ্ট পাচ্ছে।

- Advertisement -

জাহাজের আঘাতে তার মেরুদন্ড ভেঙে গিয়ে এস আকৃতি পাওয়ার পর ব্রিটিশ কলাম্বিয়া থেকে হাওয়াই পর্যন্ত আট ঘণ্টারও কম সময় সাঁতরেছে মুন। রের প্রত্যাশা, মুনের এই ঘটনা তিমিকে আঘাত করার বিপদ সম্পর্কে জাহাজ চালকদের সতর্ক করবে।

নর্থ কোস্ট সেটাসিন সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা রে বলেন, সংস্থার ড্রোনের মাধ্যমে তোলা ছবিতে ৭ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার উত্তর উপকূলে ফিন আইল্যান্ড রিসার্চ স্টেশনের পাশ দিয়ে মুনের চলে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়ে। তখনই অস্বাভাবিক কিছু একটা মনে হয়।

এরপর ১১ ডিসেম্বর মুনকে আবার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার উপকূলে দেখা যায়। প্যাসিফিক হোয়েল ফাউন্ডেশনের গবেষকরা ১১ ডিসেম্বর তাকে হাওয়াইয়ের মাউই উপকূলে দেখতে পান। রে বলেন, গবেষকদের ধারণা বড় কোনো জাহাজ মুনকে ধাক্কা দিয়েছে। তার প্রতি আমার ভালোবাসা রয়েছে। তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা অসীম। কিন্তু এটা আমানর জন্য হৃদয়বিদারক যে, চলার জন্য তাকে কেবল পাশের ডানা ব্যবহার করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, মুনের জন্ম সম্ভবত হাওযাইয়ে এবং তার মা তাকে সঙ্গে নিয়ে খাবারের জন্য ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় এসেছিল। সেই জ্ঞান, সেই প্রথাই এখনো চলছে। ২০২০ সালে পাশে একটি বাচ্চাসহ মুনকে দেখঅ যায়।

বি.সি হোয়েলস এক বিবৃতিতে বলেছে, সব ধরনের জাহাজ তিমিদের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles