8.1 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

ইসিতে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কাউকে না রাখার প্রস্তাব তরিকতের

ইসিতে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কাউকে না রাখার প্রস্তাব তরিকতের - the Bengali Times

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ডাকা সংলাপের চতুর্থ দিনে অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। দলটি নির্বাচন কমিশনে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী বা তার পরিবারবর্গের কাউকে না রাখাসহ চার দফা প্রস্তাব দিয়েছে।

- Advertisement -

সোমবার বিকাল চারটায় বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।

সংলাপ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সংলাপে তরিকত ফেডারেশনের নেতারা স্বাধীন, কার্যকরী অগ্রহণযোগ্য ইসি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে চার দফা দাবি পেশ করেন।

সংলাপে তরিকত ফেডারেশন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি সময়োপযোগী আইন প্রণয়নের পক্ষে মত দিয়েছে। এছাড়া সার্চ কমিটি গঠনের ব্যাপারেও মত দিয়েছে দলটি। তবে বিষয়টি সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকার জন্য রাজনৈতিক দল ছাড়াও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান জানান। তরিকত ফেডারেশন প্রস্তাবিত অনুসন্ধান কমিটিতে গণমাধ্যমের একজন প্রতিনিধিসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন।

প্রেস সচিব জানান, বিটিএফ প্রতিনিধিদলকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, একটি নির্বাচন কমিশন গঠন একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনই সংলাপের আলোচনার মূল লক্ষ্য।

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার ভিত্তিতে একটি দক্ষ, শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব হবে। তিনি দেশের ইসি গঠনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সার্বিক সহযোগিতাও কামনা করেন।

গত ২০ ডিসেম্বর প্রথম দিনে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপে বসেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

২৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকাল চারটায় বৈঠক হবে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে, ২৯ ডিসেম্বর বুধবার বিকাল চারটায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফের সঙ্গে, সন্ধ্যা ৬টায় ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে, ২ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টায় গণফোরামের সঙ্গে এবং সন্ধ্যা সাতটায় বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে এবং সাড়ে সাতটায় বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সংলাপের কথা রয়েছে। অন্যান্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও রাষ্ট্রপতি পর্যায়ক্রমে সংলাপ করবেন।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর আগে আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে নতুন সার্চ কমিটি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের জন্য দুইজন, চারজন নির্বাচন কমিশনারের জন্য আটজনের নাম সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবেন। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জনের নামের তালিকা থেকে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার চূড়ান্ত করবেন।

সূত্র : ঢাকাটাইমস

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles