10.5 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৫

ভিডিও ভাইরাল

ভিডিও ভাইরাল - the Bengali Times
মেয়ের কাছ থেকে কি বেনিফিট আশা করছিলে না কি এইসব নাটক আমাদের জানা আছে

-আবির তোমার দ্বিতীয় ঘরের মেয়ে টা না কি পালিয়ে গেছে। ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।

শতাব্দীর কথায় আবির খুব বিরক্ত হলো। শতাব্দীর সাথে সংসার জীবন যাপন  প্রায় পাঁচ বছর। সে যথেষ্ট নাক উঁচু স্বভাবে,হওয়ার-ই কথা। কথা বার্তায় ও যথেষ্ট মেপে বলতো কিন্তু  শতাব্দীর কথা বার্তা এমন ক্লাস লেস হলো কবে থেকে আবির চিন্তা করতে করতে ভ্রু কুঁচকে গেছে।

- Advertisement -

শতাব্দী আবার বললো-

-আবির,don’t worry. আসলে এমনই ভেবেছিলাম। কোথা কার কোন একটা মহিলা মেয়ে সহ বিয়ে করে ফেললে।

-কোথা কার কোন মহিলা মানে কি বুঝতে চাইছো শতাব্দী? কিসের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে?

– কেন তুমি কিছুই জানো না? যা কে বিয়ে করলে সে তো তাহলে কিছুই তোমাকে জানায় না। মা কে বিয়ে করেছো

মেয়ের কাছ থেকে কি বেনিফিট আশা করছিলে না কি? এইসব নাটক আমাদের জানা আছে।

আবির নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, ঠাস করে চড় বসিয়ে দিল শতাব্দীর গালে।

-তুমি নিজে কত টা নোংরা এটা আর জনসম্মুখে না বলি। কারন তোমার মতো নোংরা মানসিকতার মানুষের কাছ থেকে এরচেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না।

শপিং মলের  একপাশের এক্সিলেটরের করে মানুষ উঠছে,আপর পাশের এক্সিলেটরে মানুষ নামছে। সবাই হতবিহ্বল।

শতাব্দী চেঁচিয়ে বললো –

-নোংরা মানসিকতা আমাকে বলছো? অথচ তোমাকে ফিরে পাবার জন্য আমি আবার দেশে এসেছি। তোমার সাথে একটা বার দেখা করার জন্য কত ভাবে ট্রাই করে যাচ্ছি। ভাগ্য তোমার সাথে আমার দেখা করিয়ে দিয়েছে।

-শতাব্দী, cool down. তুমি আমাকে পাবার আশায় কিছুই করছো নাম তুমি বিষয় টা পার্সোনালি নিয়েছো। তুমি আশায় না নেশায় মেতে উঠেছো। তোমার চারপাশে আমার মতো হাজার আবির ঘুরপাক খায়। তুমি বরং তোমার মনে কথা শোন আর সুখি হও। আইজা কে আমার কাছে দিয়ে দিতে পারো। আমার মেয়ে তার আর আইজা এক সাথে থাকবে।

-আমার মেয়ে আইজা কে তুমি এইসব বাজে পরিবেশে রেখে যেতে বলছো?যে মেয়ে পালিয়ে গেছে তার সাথে থাকবে। তারা তোমার মেয়ে হলো কবে থেকে?

-আমি তারার বাবা,আইজার ও বাবা।

-আবির এখন ও সময় আছে,ফিরে এসো আমরা আবার এক সাথে থাকবো।

-পসিবল না।

তরু চুপচাপ বসে আছে। কোন কাজ করতে পারে না।  ওক কথায় বিষন্নতায় ভুগছে। আবির ট্রে-তে করে কফির দুইটা মগ নিয়ে তরুর পাশে বসতে বসতে জিনিস করলো-

-তরু,আমি কি তারার বাবা হতে পারিনি?

-হুম কেন এই ভাবে বলছেন?

-এই যে এতো কিছু হয়ে গেল,তুমি তো কিছুই আমাকে জানাওনি?

-বিশ্বাস করেন আমি নিজে ও কিছুই জানতাম না।

-তারা নিশ্চয়ই এক দিনে এত বড় সিদ্ধান্ত নেয়নি। তুমি যতটুকু জেনেছো ততটুকুই আমার সাথে শেয়ার করো। সন্তান ভুল করবো তাই বলে সন্তান কে বিপথগামী হতে দেয়া যাবে না। আমি চেষ্টা করবো, তারা কে সুন্দর জীবন দিতে।

তরু চোখ মুছতে মুছতে বললো-

-আমাদের বিয়ের পরে ইয়াদ নামের একটা ছেলে তরা কে প্রপোজ করে। ছেল টা-ই ভিডিও ভাইরাল করে। একটা সময় ছেলের নাকি তারা কে আজেবাজে কথা বলতে শুরু করে।

-কি ধরনের কথা,বলতো?

– আপনাকে জড়িয়ে একটা কথা বলে যা শুনে তারা,ডিপ্রেশনে ভুগতে শুরু করে। এই বিষয় গুলো যে অনেকে দিনেে তা কিন্তু নয়। খুব অল্প সময় এতো বড় সিদ্ধান্ত নেয় তারা। মেয়ে টা ডিপ্রেশনে ভুগছে বুঝতে না পারলে ও কোন একটা সমস্যায় পরেছে বুঝতে পেরেছিলাম। রত্নার মা কে স্কুলে দিয়ে আসার জন্য ঠিক করেছি,আপনার সাথে ট্যুরে যাওয়ার প্ল্যান ক্যানসেল করেছি। ওফ্, আমি আর কিছু ভাবতেই পারছি না।

-বুঝতে পেরেছি। এটা সম্পূর্ণ চক্রান্ত  ছিল। শতাব্দী প্ল্যান ছিল হয়তো। আমাদের উচিত তারার সাথে যোগাযোগ করে মেয়ে টা কে উদ্ধার করা।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles