9.4 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

নাম বললে তো বাংলাদেশেই থাকতে পারব না: তাহসান

নাম বললে তো বাংলাদেশেই থাকতে পারব না: তাহসান - the Bengali Times
ছবি সংগৃহীত

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা মামলায় নজরদারিতে আছেন তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া। তথ্যপ্রমাণ পেলে যেকোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন-এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান।

বিষয়টি নিয়ে তাহসান খান কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর অগাধ আস্থা আছে। তারা তদন্ত করলেই দেখবে যে আমরা কোনোভাবে জড়িত নই। এরপর ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হবে।’

- Advertisement -

কেন ইভ্যালিতে যুক্ত হয়েছিলেন তাহসান খান, জানতে চাইলে দেশের বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় এই তারকা বললেন, ‘ইভ্যালি আমার কাছে প্রথম যখন এসেছিল, তখন আমি কিন্তু যুক্ত হইনি। এই বছর যখন তারা এলো, তাদের সুস্পষ্ট কথা ছিল, আমি কেন তাদের সঙ্গে কথা বলতে সংকোচ বোধ করছি। তারা বলছিল, ইভ্যালি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ই–কমার্স কোম্পানি, ৪০ লাখ তাদের গ্রাহক। তারা আইটি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্পন্সর হচ্ছে, জাতীয় দলের স্পন্সর, তাহলে আমি কেন করব না। ওই মুহূর্তে আমার মনে হয়েছে, আমি তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি। তাদের কথা ও কার্যক্রম দেখে দেখে আমার তখন মনেই হয়নি, তারা ইলিগ্যাল কোনো কোম্পানি।

একটা ইলিগ্যাল কোম্পানির সঙ্গে তো বাংলাদেশের এত বড় বড় প্রতিষ্ঠান যুক্ত হতো না। তারা বাংলাদেশে সব বড় ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রি করছে। তা মোটরসাইকেল হোক, আর গাড়ি হোক সব বড় বড় প্রতিষ্ঠান। একটা অবৈধ কোম্পানি তো কখনোই এত বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে পারে না। এত এত অ্যাওয়ার্ডও পেতে পারে না। আমি যুক্ত হয়েছি এই চিন্তা থেকে। এরপর দেখলাম, কাস্টমার অভিযোগ এত বেশি, আমার পরিচিতজনদের অভিযোগও তারা সলভ করতে পারছে না, তখনই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে বের হয়ে এসেছি।’

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইভ্যালিতে তাহসানের যুক্ত হওয়ার খবরটি জানান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। তাহসান বলেন, ‘আমার প্রেস কনফারেন্স হয় এ বছরের মার্চের শুরুতে, মে মাসের শেষে বের হয়ে আসি। চুক্তি ছিল দুই বছরের, তিন মাসের মধ্যে বের হয়ে আসি। কত মানুষ কত প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়, আমিও হয়েছি। সব কোম্পানিরই তো কমবেশি কাস্টমার কমপ্লেইন থাকে। এই কোম্পানির বেশি ছিল বলেই বের হয়ে আসতে হয়েছে।’

তবে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে তাহসান বলেন, ‘ইভ্যালি যখন সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে, তখন আমি কীভাবে “না” করব। আমিই-বা কীভাবে মনে করব এটা একটা অস্বচ্ছ কোম্পানি। আমাকে তো আরও দু-তিনটা মানুষের নাম বলেছে, যাদের নাম আমি এখন বলতে পারব না, তারা তাদের সঙ্গে আছেন এবং তারা খুবই প্রভাবশালী ও তারা যে ইভ্যালির সঙ্গে আছেন, প্রমাণও দিয়েছে। একটা কোম্পানি তখন ভালো চলছে, সবারই পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে, আর আমি তো সিএফার্ম না, একটা কোম্পানির ফাইন্যান্সিয়াল বুকস তো আমাকে দেখতে দেবে না। বাহ্যিকভাবে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, আমাদের তা করতে হয়। এসব না দেখলে তো যুক্ত হতাম না।

আমি শুনেছি ইভ্যালির ৪০ লাখ গ্রাহক, যে কোম্পানিতে আমি যুক্ত হওয়ার আগেই ৪০ লাখ মানুষ যুক্ত, যে কোম্পানির সঙ্গে দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান যুক্ত, দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত, সেখানে আমি শুভেচ্ছাদূত হয়ে মাত্র দুটো ফেসবুক লাইভ করেছি। আমি কিন্তু বিজ্ঞাপনও করিনি। আর আমি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করলে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের করতেই পারি। কারণ, তখন তো লিগ্যাল কোম্পানি। আমি আবারও বলছি, আমাকে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, “আপনারা কেন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন না? আমরা এই দুই প্রতিষ্ঠানের স্পন্সর হয়েছি। ক্রিকেট দলের সঙ্গে আছি।” আমি তো কোনো বিশেষজ্ঞ নই যে বুঝে ফেলব, এই কোম্পানি ব্যাংকরাপ্ট হবে। তারা আরও তিনটা নাম বলেছে, যা আমি আপনাকে বলতে পারব না, তাহলে হয়তো আমি বাংলাদেশেই থাকতে পারব না।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles