
পুরোনো বন্ধুত্ব নতুন করে জাগিয়ে তোলার কথা ভেবেছেন কিন্তু তাদের কাছে যেতে পিছিয়ে গেছেন? এমনটা যদি হয়েই থাকে তাহলে তা কেবল আপনার একার ক্ষেত্রে নয়। এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ও যুক্তরাজ্যের মনোবিদদের যৌথ এক গবেষণা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, বহু মানুষ পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগে দ্বিধান্বিত থাকে এবং আলাপ করে একেবারেই অপরিচিত কারোর মতো করে।
গবেষণার সহ-লেখক সিমন ফ্রেজার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. লারা অ্যাকনিনের ক্ষেত্রেও দুই বছর আগে এমনটাই হয়েছিল। তার বন্ধু ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্সের ড. জিলিয়ান স্যান্ডস্ট্রমের সঙ্গে বহুদিন পর যোগাযোগ করতে গিয়ে এটা বুঝতে পেরেছিলেন। যেটা হয়েছিল তা হচ্ছে নববর্ষের বার্তা পাঠানো।
অ্যাকনিন বলেন, আমি জিলিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং বলি, শুভ নববর্ষ, তোমার অভাব খুব বোধ করি।
অনেক বছর আগে ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী এই দুই মনোবিজ্ঞানী শেষ পর্যন্ত একটি প্রকল্প নিয়ে কবাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। লোকজন কীভাবে বন্ধুত্ব পুনর্জাগরণ করে তা খুঁজে দেখেন। তৎক্ষণাৎ তারা যেটা বুঝতে পারেন তা হলো যারা আমাদের জীবনে অর্থপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তাদেরকে ফোন, টেক্সট ও ইমেইল করতে অনীহা প্রকাশ করি।
অ্যাকনিন বলেন, ফলে এটা হয়ে ওঠে তা নথিবদ্ধ করার, বোঝার এবং সম্ভবত এটা অতিক্রমে লোকজনকে সহায়তা করার প্রকল্প।
গবেষণার জন্য তারা আড়াই হাজার সক্রিয় অংশগ্রহণকারীর সমন্বয়ে একাধিক গবেষণা পরিচালনা করেন। প্রথমেই তারা আলো ফেলেন বন্ধুত্ব শেষ হয়ে যাওয়া কতটা স্বাভাবিক। এমনকি তা তরুণদের মধ্যেও। প্রাথমিক গবেষণায় ৪৪১ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ওপর সমীক্ষা চালানো হয়। তাদের মধ্যে মাত্র ৪০ জন বা ৯ শতাংশের মতো জানান যে, পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ কখনো বন্ধ করেন না তারা, যারা তাদের কাছে এখনো যতœশীল। বাকি যে ৯১ শতাংশ যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছেন তারা একাধিক জটিল কারণে পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের ধারণায় নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন।
অ্যাকনিন বলেন, এসব কারণে মধ্যে সবার উপরে আছে এই সময়ে যোগাযোগ করাটা বাজে হতে পারে বলে উদ্বেগ বা ভয়। বন্ধুরাও তাদের কথা না শুনতে পারেনÑএমন ভয় ও উদ্বেগও কাজ করে এক্ষেত্রে। বন্ধুদের জীবনে এটা অযাচিত হতে পারে এমন উদ্বেগও কাজ করে তাদের মধ্যে।