8.6 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪

কাঁদলেন মেয়র জাহাঙ্গীর: প্রধানমন্ত্রী চাইলে ফাঁসিতে ঝুলবো, তবু অন্তত সমর্থক হয়ে থাকতে চাই

কাঁদলেন মেয়র জাহাঙ্গীর: প্রধানমন্ত্রী চাইলে ফাঁসিতে ঝুলবো, তবু অন্তত সমর্থক হয়ে থাকতে চাই - the Bengali Times
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম

‘জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি বলেন, আমি বিনা কারণে ফাঁসিতে ঝুলব। আমাকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে বহিষ্কার করলেও আমার আপত্তি নাই। আমি পদ-পদবি চাই না। আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসাবে বাঁচতে চাই।’

এভাবেই সাংবাদিকদের সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য-আজীবন বহিষ্কৃত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। শনিবার দুপুর ১২টায় গাজীপুর মহানগরীর হারিকেন এলাকায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা বলেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে সকলের সামনে তাকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। এ সময় মেয়রের সাথে থাকা কর্মীরাও আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন।

- Advertisement -

এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভায় জাহাঙ্গীরকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওই সিদ্ধান্তের পর থেকেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়ায় জাহাঙ্গীর দাবি করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে। আজকেও সংবাদ সম্মেলনে সেই অভিযোগ আবারও করলেন জাহাঙ্গীর। তার দাবি, আমি যখন ছাত্র রাজনীতিতে ছিলাম, তখন থেকেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। পরবর্তীতেও আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র থামেনি। কিছু লোক ২০১৩ সালের পর থেকে আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য পেছনে লেগে ছিল। প্রধানমন্ত্রীকে ভুল তথ্য দিয়ে তারা আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

প্রকাশিত তথ্য ও ফুটেজকেও আংশিক উপস্থাপন অভিহিত করে তিনি বলেন, আমি তিন ঘন্টা কথা বলেছি ঘরে, সেটাকে তিন মিনিট, পাঁচ মিনিট। আমি বাহিরে কথা বলেছি ১ ঘণ্টা, সেখান থেকে ১৫ সেকেন্ড, ৩০ সেকেন্ড বিভিন্ন কথা থেকে মূল কথা বাদ দিয়ে তারা এডিট করেছে। যারা মানুষের বেডরুমে ঢুকে কথা রেকর্ড করেছে, তাদের বিচায় হয় নাই! যারা রাস্তাঘাটে গাড়ি ভাঙচুরের সাথে জড়িত ছিল, তাদের বিচার হয় নাই!

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি আমার ওই অডিও/ভিডিওর বিষয়ে কথা বলতে পারতাম, তবে প্রধানমন্ত্রী সবকিছু বুঝতে পারতেন। তখন তিনি হয়তো আমার ব্যাপারে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেন না।

তিনি আরও বলেন, আমার বুঝ হওয়ার পর থেকেই আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের সাথে আছি। আমার অস্তিত্বের মধ্যে সব জায়গায় রয়েছে মাননীয় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর আদর্শ স্থান। বঙ্গবন্ধুর জন্য, আওয়ামী লীগের জন্য এবং প্রধানমন্ত্রীর জন্য যদি আমাকে জীবন দিতে হয়, আমি দেব। আমার অনুরোধ আমাকে যেন মিথ্যা কিছুর মধ্যে জড়িত না করা হয়। মিথ্যা অপবাদ যেন না দেওয়া হয়।

দলীয় ফোরামে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করবেন বলে জানান মেয়র জাহাঙ্গীর। এছাড়াও নিজেদের কর্মীদেরকে শান্ত থাকা ও বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বানও জানান তিনি।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles