বলিউড তারকা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করা হয়েছিল বলে দাবি করলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। কিন্তু একটি সেলফির কারণে এই অপহরণের পরিকল্পনা ভেস্তে যায় বলে জানান তিনি।
রোববার (৭ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ আনেন মহারাষ্ট্র রাজ্যের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) দাপুটে মন্ত্রী তথা প্রবীণ এই নেতা। খবর আনন্দবাজারের।
নবাব বলেন, শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান প্রমোদতরীর টিকিট কেনেননি। প্রতীক গাবা ও আমির ফার্নিচারওয়ালাই আরিয়ানকে ওখানে ডেকে আনেন। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, এটা একটা অপহরণ ও মুক্তিপণের ঘটনা।
ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) তদন্তকারী কর্তকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে অপহরণের ষড়যন্ত্রের অংশ ছিলেন বলেও দাবি মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর। গোটা পরিকল্পনায় বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ জড়িত ছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নবাব মালিক বলেন, ফাঁদ পেতেছিলেন মোহিত কম্বোজের ঘনিষ্ঠজনরা। আরিয়ানকে সেখানে নেওয়া হয়েছিল। অপহরণ ও মুক্তিপণ হিসেবে ২৫ কোটি তোলার চেষ্টা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ১৮ কোটি টাকায় চুক্তি চূড়ান্ত হয়। তার মধ্যে ৫০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একটি সেলফি সব গোলমাল করে দেয়।
তবে কারও নাম নেননি নবাব মালিক। তবে গ্রেপ্তারের পর কেপি গোসাবির সঙ্গে আরিয়ানের সেলফি ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সে দিকেই ইঙ্গিত করেছেন প্রবীণ এনসিপি নেতা।
এর আগে শনিবার (৬ নভেম্বর) আরিয়ান খানের মাদক মামলায় এনসিপি নেতা সুনীল পাটিলের যোগ থাকার অভিযোগ করেছিলেন মোহিত কম্বোজ। সেই মোহিতকে মূলচক্রী হিসেবে অভিহিত করেছেন নবাব মালিক। তার দাবি, মুক্তিপণ চক্রে কম্বোজের সঙ্গে যোগ ছিল সমীর ওয়াংখেড়ের। আসলাম শেখসহ একাধিক মন্ত্রীর সন্তানদের প্রমোদতরীতে নিয়ে গিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারকে বদনাম করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
নবাবের অভিযোগের পাল্টা মন্তব্য এসেছে এনসিবির পক্ষ থেকে। নবাব যেভাবে মাদককাণ্ডকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা হিসেবে বর্ণনা করছেন, তার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবেন কি? এনসিবি কর্মকর্তাদের একাংশ এই কথা বলছেন। এনসিবির কর্মকর্তাদের একটি অংশের প্রশ্ন, যে অভিযোগ প্রকাশ্যে করছেন নবাব, তা নিয়ে কেন তিনি আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না?
প্রসঙ্গত, গত মাসে একটি প্রমোদতরীতে মাদক সেবনের অভিযোগে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার করেছিল এনসিবি, প্রায় চার সপ্তাহ জেল হাজতে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।