
উইমন্টের মেয়র নাতাশা স্যালোনেনের আর্ষিক আয় ৯০ হাজার ডলার। তারপরও তার নেতৃত্বাধীন মিউনিসিপালিটিতে বাড়ি কেনার সামর্থ্য তার নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্যালোনেন বলেন, আমি আমার বাবা-মার সঙ্গে তাদের বাড়িতে বসবাসন করি। ইউনিভার্সিটিতে সদ্য ঢোকা কোনো তরুণ পেশাজীবীর সামর্থ্যরে বাইরে এই অঞ্চল। এক্ষেত্রে আমি একা নই।
কিচেনার-ওয়াটারলুর বাইরে উইলমট টাউনশিপে বসবাস করে ২২ হাজারের মতো মানুষ। ওয়াটারলু রিজিয়ন অ্যাসোসিয়েশন অব রিয়েলটরসের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে উইলমন্টের প্রতিটি বাড়ি বিক্রি হয়েছে গড়ে ৯ লাখ ১৬ হাজার ১৬৭ ডলারে।
স্যালোনেনের বয়স মাত্র ২৮ বছর এবং তার বিষয়টি অন্য রাজনীতিবিদদের চেয়ে অনেকটাই আলাদা। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে যেসব মেয়র রয়েছেন তাদের মধ্যে কেবল আমরাই নিজস্ব কোনো বাড়ি নেই।
স্যালোনেন ২০২২ সালের অক্টোবরে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো উইলমন্টের মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করার পর এখনো শিক্ষা ঋণ শোধ করতে হচ্ছে তাকে। বাড়ি কিনতে না পারার এটাও একটা কারণ বলে জানান তিনি।
স্যালোনেন বলেন, ২০এর ঘরে থাকা তার অনেক বন্ধুরই উইলমন্টের বাড়ির মালিক হওয়ার সামর্থ্য নেই।
রয়্যাল লাপেজের রিয়েলটর শন রামুটর বলেন, মেয়রের যে পরিস্থিতি তাতেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি তা হলো প্রথমবারের মতো বাড়ির ক্রেতারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের জন্য এই মুহূর্তে বাজারে ঢোকা সত্যিই কঠিন। এর অর্থ হচ্ছে, অনেক বাবা-মা চাইছেন তাদের সন্তানরা বাড়ি না কেনা পর্যন্ত যেনো তাদের সঙ্গেই থাকে। এখন আমরা বহু প্রজন্মের পরিবারকে একব ছাদের নিচে বসবাস করতে দেখছি। এর কারণ, আবাসন বাজারে তাদের ঢুকতে না পারা।