ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক শোকের ছায়া নেমেই চলছে। অভিনেতা আদিত্য সিংহ রাজপুত, নীতেশ পাণ্ডে, বৈভবী উপাধ্যায় এবং ভোজপুরী পরিচালক সুভাষচন্দ্র তিওয়ারির মৃত্যুর রেশ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি কেউ। এরই মধ্যে ফের খবর এলো, কিংবদন্তি বর্ষীয়ান বাঙালি অভিনেতা অমরনাথ মুখার্জি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
সাদা-কালো সিনেমার যুগে জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন অমরনাথ। তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পরই শোকাহত তারকারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অমরনাথের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অভিনেতা জয়জিৎ মুখার্জি।
এ অভিনেতা ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘অমরনাথ কাকু ভালো থেকো অন্য পৃথিবীতে। তোমার ফোন নম্বর মোবাইল ফোনে থেকে যাবে।’ আর এই পোস্টে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরাও শোক প্রকাশ করেছেন।
আনন্দবাজার পত্রিকা অভিনেতার পারিবারিক সূত্রের বরাত জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ মে) মুম্বাই মারা গেছেন অমরনাথ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্থক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। একইসঙ্গে ফুসফুসে ফাইব্রোসিস ধরা পড়েছিল।
অমরনাথ ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা হরেন্দ্রনাথ মুখার্জির ছেলে। ১৯৭০ সালের দিকে বাংলা সিনেমায় অভিষেক করেন অমরনাথ। তার প্রথম সিনেমা ছিল ‘মেঘ কালো’। এতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন। এরপর ‘কুহেলি’, ‘ছিন্নপত্র’ সিনেমায় সুযোগ পান।
পরবর্তী সময়ে ‘বসন্ত বিলাপ’, ‘মৌচাক’, ‘অগ্নিশ্বর’, ‘স্বয়ংসিগ্ধ’ ও ‘বিদ্রোহী’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। বাংলা বাণিজ্যিক সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম ‘বেদের মেয়ে জোসনা’। তার অভিনীত শেষ বাংলা সিনেমা মজুমদার পরিচালিত ‘আলো’। ‘দুর্গেশনন্দিনী’ ধারাবাহিকেও দেখা গেছে তাকে।
বাংলার পাশাপাশি হিন্দি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন অমরনাথ। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য হিন্দি সিনেমা ‘ডিস্কো ডান্সার’। এছাড়া হিন্দি ধারাবাহিকের শুরুর দিকে ‘ব্যারিস্টার বিনোদ’ এবং রমেশ সিপ্পির ‘কিসমত’-এও দেখা গেছে বর্ষীয়ান এ অভিনেতাকে।