8.1 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

সুন্দরীদের দিয়ে প্রভাবশালীদের ব্ল্যাকমেইলিং ছিল আরাভের নেশা

সুন্দরীদের দিয়ে প্রভাবশালীদের ব্ল্যাকমেইলিং ছিল আরাভের নেশা
আরাভ খান

পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান এখনো দুবাই পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন। বুর্জ খলিফায় তার ফ্ল্যাটের সামনে আগের মতোই অবস্থানে রয়েছে ওই দেশের পুলিশ। সে দেশের পুলিশের পরামর্শেই আরাভ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সব ধরনের যোগাযোগ সীমিত রেখেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশে আরাভের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল এমন কিছু ব্যক্তিকে নজরদারিতে রেখেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। এ ছাড়া ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করা আরাভ খান সম্পর্কে তথ্য চেয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের সহায়তা চাইবে পুলিশ। মামুন এমরান হত্যা মামলা তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশের একটি ইউনিট গতকাল এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রস্তুত করেছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক মনজুর হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো বলার মতো কোনো তথ্য নেই। কোনো তথ্য এলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পক্ষ থেকে এমন একটি চিঠি প্রস্তুত করা হয়েছে বলে তারা শুনেছেন। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছেন, পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলা তদন্তে আরাভ খানের অন্ধকার অধ্যায় উঠে এসেছিল। দেশের অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তিকে সুন্দরী রমণীদের দিয়ে ফাঁদে ফেলেছিলেন তিনি। সেসব তরুণীর সঙ্গে কাটানো অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলো গোপনে ধারণ করিয়ে দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেইলিং করে গেছেন আরাভ খান। তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন নানা সুবিধা। মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার আরাভের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার ওরফে কেয়াও এ বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। অনেকটা একই রকম জবানবন্দি দিয়েছিলেন ওই মামলায় গ্রেফতার আরও সাত আসামি। তবে কিছুদিন পর তারা আইনজীবীর মাধ্যমে জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদনও করেছিলেন। বনানীর যে ফ্ল্যাটে মামুন খুন হয়েছেন, সেখানেও চলত আরাভের যৌনব্যবসা। ওই কর্মকান্ডে আরাভের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন স্বপন, দিদার, আতিক, মিজান ও সারোয়ার। সূত্র আরও বলছেন, আরাভের মাধ্যমে যারা প্রতারিত হয়েছেন তাদের অনেকের বিষয়ে গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন। তবে যারা তার বিভিন্ন অপকর্মে সহায়তা করতেন কিংবা তাদের নাম ব্যবহার করতেন আরাভ, তাদের ওপর নানা মাধ্যমে বিশেষ নজরদারি চলছে।

- Advertisement -

মামুন হত্যার পরই রবিউল ভারতে পালিয়ে যান। সেখানকার এক মেয়েকে বিয়ে করে আরাভ পরিচয়ে পাসপোর্ট তৈরি করেন। ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করেই তিনি চলে যান সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আরাভ পরিচয়ে তিনি একাধিকবার বাংলাদেশে এসেছিলেন। প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে বিশেষ সখ্য থাকায় অনেকেই তখন বাধ্য হয়ে রবিউলের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই মামুন খুন হন। পরদিন গাজীপুরের জঙ্গল থেকে তার আধপোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে রবিউল ও তার স্ত্রী কেয়াসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ চার্জশিট দেয় ডিবি।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles