1.5 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

ডিসেম্বর ঘিরে রাজনীতিতে টানটান উত্তেজনা

ডিসেম্বর ঘিরে রাজনীতিতে টানটান উত্তেজনা

নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তাপ বাড়ছে রাজনীতির মাঠে। এক ডিসেম্বর মাসকে ঘিরে রাজনীতিতে টানটান উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। নির্দ্বিধায় বলা যায় এ পরিবেশ পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হবে।

- Advertisement -

বর্তমান সময়ে রাজনীতির পরিবেশ সেই তিক্ততার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের পারদ। আবার কেউ কেউ কৌশলকে পাশ কাটিয়ে প্রতারণাকে রাজনীতিতে টেনে এনেছে। রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা বেশ কয়েক বছর ধরেই এ চিত্র দেখছে দেশের মানুষ।

ফলে রাজনীতি যে রাজার নীতি সেটি হারিয়ে গেছে। এখন চলছে রাজনীতির নামে বাকযুদ্ধ মিথ্যাচার, আশার বাণী আর হুংকার। বাংলদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতারা সেই বাকযুদ্ধে নেমেছেন। আর তাদের কাছে দেশের জনগণ জিম্মি হয়ে পড়েছে।

বাঙাগালির গর্ব আর বিজযের মাস ডিসেম্বর। এ মাসে বিএনপিকে রাস্তায় নামতে দেয়া হবে না- এমন ঘোষণা ক্ষমতাসীনদের। আওয়ামী লীগের হুমকিটি এসেছে বিএনপির ডেডলাইন ধরনের আল্টিমেটামের জবাবে। গৌরবের মাসে এমন আতঙ্কের আগাম বার্তা দেশের জনগণ আশা করে না।

আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হিসেবে বিএনপিও পাল্টা হুংকার দিচ্ছে। তারা এক দফা দাবি দিয়ে সরকার পতনের লক্ষ্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন বিভাগে সমাবেশ করে যাচ্ছে। বিএনপির একটাই কথা, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা যাবে না। তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড়।

১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায়- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, রাজনীতিবিদরাও মনে করেন এ বক্তব্য আইনের শামিল নয়। এসব কথা বলে রাজনীতির পরিবেশ ঘোলাটের দিকেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

ঢাকায় বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের জনসভায় খালেদা জিয়া উপস্থিত হবেন, ১১ ডিসেম্বর তারেক রহমান বাংলাদেশে আসবেন’- এমন আচানক কথা রটেছে বিএনপির মধ্য পর্যায় থেকে। এ ধরনের হুমকি-ধমকিমূলক কথায় নানান প্রশ্নের সঙ্গে উত্তেজনাও তৈরি হয়েছে রাজনীতির মাঠে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ১০ ডিসেম্বরের আগে দেশে কোনো নির্বাচন নেই। তবে দুই দলের মধ্যে ডিসেম্বরে উত্তেজনাকর কিছু হতে যাচ্ছে। বিএনপি-আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তেব্যে সেটি আঁচ করা যাচ্ছে। এমনিতেই দেশের জন্য সময়টা ভালো যাচ্ছে না। সরকারের পক্ষ থেকে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে। তার মধ্যে রাজনীতিবিদরা দেশের কথা ভাববেন না। এমনটা আশা করে না দেশের জনগণ।

বিদ্যুতের নাজুক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক গোলমাল, সামাজিক অস্থিরতাসহ মানুষ ভীষণ যন্ত্রণায়। এ পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে। এক্ষেত্রে সরকারকে কোনো পারর্মশ না দিয়ে উল্টো হুমকি-ধমকি, সরকার পতনের আন্দোলন জোরদার করছে বিএনপি।

নির্বাচন বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘দেশের মধ্যে একটা সংকট চলছে। কিন্তু রাজনীতিবিদ যারা আছেন তারা যদি মনে করেন দেশে সংকট চলছে তাহলে চলছে। আর যদি তারা মনে করেন দেশে কোনো সংকট নেই, তাহলে সংকট নেই। আর দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে যে বাগযুদ্ধ চলছে সেটা নিয়ে কথা বলতে চাই না।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রতি যাদের শ্রদ্ধাবোধ, সম্মানবোধ, দায়িত্ববোধ থাকে তারা এসব কথা বলতে পারে না। যারা এসব বলে তাদের উদ্দেশ্য হলো দেশের আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো। বিএনপির সঙ্গে জনগণ আছে কিনা সেটা হলো মূল বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘জেলের তালা ভেঙে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে বিএনপির এ ধরনের বক্তব্য আগেও শুনেছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় তারা বলেছে নির্বাচনের পরে নিজ হাতে চাবি নিয়ে জেলের তালা খুলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। দেশে কি কোনো নিয়ম শৃঙ্খলা, গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই? তারা কীভাবে এসব কথা বলে?’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি জনগণকে নিয়ে মৃত্যু-বাজি রেখে আন্দোলনে নেমেছে। সেখান থেকে বিএনপিকে কেউ রুখতে পারবে না। শুধু ডিসেম্বরই নয়, সরকারের পতন পর্যন্ত বিএনপি মাঠের আন্দোলনে থাকবে।’

সূত্র : ঢাকাটাইমস

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles