7.1 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

পর্নো ভিডিওতে সয়লাব ব্রাউজার, নিয়ন্ত্রণের দাবি

পর্নো ভিডিওতে সয়লাব ব্রাউজার, নিয়ন্ত্রণের দাবি
প্রতীকী ছবি

দৈনন্দিন কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্রাউজার এবং শহর-বাজার-অলিগলিতে বিশেষ করে কম্পিউটার এডিটিং, কম্পোজের দোকানগুলোতে এখন পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে পড়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

গুরুত্বপূর্ণ ব্রাউজারগুলোকে জবাবদিহিতা ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনার পাশাপাশি কম্পিউটারের দোকানগুলোতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

- Advertisement -

শনিবার (১৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইন্টারনেট আসার আগে অর্থাৎ ৯০ এর দশক পর্যন্ত কেবল নির্দিষ্ট কিছু স্থানে বা গোপনে টেলিভিশনে ভিডিও ক্যাসেটের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি প্রদর্শন করা হতো। পরবর্তীতে এ স্থান দখল করে নেয় সিডি। ১৯৯৬ সালে সেলুলার ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি ধীরে ধীরে মানুষের হাতে যখন স্মার্ট ফোন চলে আসে সেই সাথে পর্নো ভিডিও মানুষের হাতের মুঠোয় চলে আসে।

ডিজিটাল যুগে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্রাউজার যেমন ক্রম, ফায়ারফক্স, মজিলা, মিনি অপেরা, বেটা, ভিপিএনসহ বিভিন্ন ব্রাউজার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু প্রয়োজনে সার্চ দেয়ার সাথে সাথে মিলে যাচ্ছে কোটি কোটি পর্নো ভিডিও লিংক। এ সব ব্রাউজার নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আমরা লক্ষ্য করিনি।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে পর্নো নিয়ন্ত্রণ করতে হলে গুগলসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্রাউজারগুলাকে নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। পাশাপাশি পাড়া মহল্লায় অভিযান চালাতে হবে। সেই সাথে জনসচেতনতা বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

যেহেতু বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ এবং আইনগতভাবে বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ। তাই এ ব্যাপারে সরকারকে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। না হলে আগামী প্রজন্ম বিপথগামী হবে এবং দেশে ধর্ষণ ও অন্যায় বিস্তার লাভ করবে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles