8.1 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

এবার ধেয়ে আসছে ইতিহাসের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘ফিওনা’

এবার ধেয়ে আসছে ইতিহাসের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘ফিওনা’

কানাডার আটলান্টিক উপকূলে আঘাত হানতে যাচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফিওনা। এটি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় হতে পারে।

- Advertisement -

শনিবার সকালে দেশটির পূর্বাভাসকারীরা এমন সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। প্রবল বৃষ্টি ও তীব্র বাতাস নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফিওনা।

আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলেও ফিওনার প্রভাবে হারিকেনের মতো তীব্র বাতাস, প্রবল বৃষ্টি ও সমুদ্রে বড় আকারের ঢেউ তৈরি হতে পারে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় দুই লাখ সাত হাজার নোভা স্কোটিয়ার পাওয়ার গ্রাহক মধ্যরাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হয়েছে।

শুক্রবার ভোরে বারমুডা উপকূল পার হওয়ার সময় ঘূর্ণিঝড়টি আগের চেয়ে অনেক দুর্বল হয়ে যায়। দ্রুত ধাবমান ফিওনা শনিবার ভোরের আগে নোভা স্কটিয়ার মাটিতে আঘাত করবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

কানাডিয়ান হারিকেন সেন্টার নোভা স্কটিয়া, প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ড ও নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলীয় বিস্তৃতির জন্য একটি হারিকেন সতর্কতা জারি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার বলেছে, প্রবল বাতাসসহ শক্তিশালী ক্রান্তীয় সাইক্লোন হিসেবে ফিওনা এ অঞ্চলে আঘাত হানবে।

এ বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘এটি মারাত্মক হতে যাচ্ছে।’ তিনি নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশাবলী শুনুন এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা নিরাপদে থাকুন।’

যুক্তরাষ্ট্রের হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, শুক্রবার শেষদিকে ফিওনা ক্যাটাগরি-২ শক্তিতে ছিল। সে সময় এটি সর্বোচ্চ ১০৫ মাইল (১৬৫ কিমি) বেগে বাতাস বয়েছিল। এটি হ্যালিফ্যাক্স, নোভা স্কটিয়ার প্রায় ১৪০ মাইল (২২০ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পূর্বে কেন্দ্রীভূত ছিল। যা ৪৬ মাইল (৭৪ কিলোমিটার) বেগে উত্তর-পূর্ব দিকে যাচ্ছিল।

হারিকেন সৃষ্ট বাতাস কেন্দ্র থেকে ১৮৫ মাইল (২৯৫ কিলোমিটার) পর্যন্ত বাইরের দিকে প্রসারিত হয়েছিল এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় সৃষ্ট বায়ু ৩৪৫ মাইল (৫৫৫ কিলোমিটার) পর্যন্ত বাইরের দিকে প্রসারিত হয়েছিল।

আবহাওয়াবিদ ইয়ান হাবার্ড বলেন, ‘এটি অবশ্যই আমাদের দেশের উপকূলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে একটি হতে চলেছে।’

তিনি বলেন, ‘ঝড়টি শীতল জলের ওপর দিয়ে যাওয়ার কারণে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং হারিকেনের শক্তি নিয়ে এটি স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা খুবই কম।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles