ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন প্যারিসের একটি আদালত।
অভিযোগ ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণায় নির্ধারিত ব্যয়সীমা ২ কোটি ২৫ লাখ ইউরোর প্রায় দ্বিগুণ ব্যয় করেছেন।
কানাডাতেও প্রতিটি নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশনে খরচের হিসাব দাখিল করতে হয়। টরন্টোতে গত নির্বাচনে একজন এমপি প্রার্থীর সর্বোচ্চ খরচের লিমিট ছিল ১,১২,২৪৫.০০ ডলার। এলাকা ভিত্তিক সামান্য কমবেশী আছে। কিন্তু এর বেশী খরচ করে ধরা পড়লে ভয়ানক অবস্হা হবে।
গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করার অন্যতম প্রধান মানদন্ড হলো প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যায়ের সীমা মেনে চলতে বাধ্য করা। যখনই কোন দেশে নির্বাচনী ব্যায়ের লিমিট থাকে না, ইচ্ছেমত টাকা খরচ করার সুযোগ থাকে সেই নির্বাচন দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ভুঁয়া হতে বাধ্য। সেই নির্বাচনে জনগনের মতের প্রতিফলন হওয়া কখনোই সম্ভব নয়। আর একটি বিষয় হলো কোন বৈধ আয়ের টাকা কেউ ইচ্ছেমত উড়াতে পারে না, পারা সম্ভব নয়। আর যিনি কোটি কোটি টাকা খরচ করে নির্বাচন করে বিজয়ী হন তিনি তা করেন ব্যবসায় লগ্নি হিসেবে যা তিনি সুদে আসলে ফিরিয়ে আনতে কাজ করেন, জনসেবা তার মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। ফলে এদেরকে ভোট দেয়াতো দুরের কথা, তাদের মুখ দেখাও পাপ!
স্কারবোরো, কানাডা