কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের সীমান্ত সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন নিহত ও বহু আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকেই এই দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ চলছে। এ কারণে সাবেক এই দুই সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের দুর্বলভাবে চিহ্নিত সীমান্তে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বুধবার নতুন করে শুরু হওয়া এক সীমান্ত সংঘর্ষ দুই দেশ অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও শুক্রবার পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। সহিংসতা শুরু করার জন্য এবং অস্ত্রবিরতি লংঘনের অভিযোগে উভয় দেশ একে অপরকে দায় দিয়েছে।
শুক্রবার কিরগিজস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের পক্ষে এ পর্যন্ত প্রায় ২৪ জন নিহত হয়েছে।
এর আগে তাজিকিস্তান থেকে পাওয়া খবরগুলো থেকে অন্তত তিন জন নিহত হওয়ার কথা জানা গিয়েছিল।
রেড ক্রসের আঞ্চলিক শাখার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহিংসতা থেকে বাঁচতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
এই সংঘর্ষ দুই দেশের সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় নতুন করে ইন্ধন যুগিয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে নজিরবিহীন এক সীমান্ত সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছিল।
বুধবার তিনটি পৃথক ঘটনায় অন্তত দুই জন নিহত হওয়ার পর বিরোধ উস্কে ওঠে।
কিরগিজস্তানে বর্ডার গার্ড অভিযোগ করে, তাজিকিস্তানের বাহিনীগুলো সীমান্তের এমন একটি অংশে অবস্থান নিয়েছে যার সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। অপরদিকে তাজিকিস্তান অভিযোগ করে বলেছে, কোনো উস্কানি ছাড়াই কিরগিজ বর্ডার গার্ড গুলি শুরু করে।
এ দুই দেশের মধ্যে ১০০০ কিলোমিটার যৌথ সীমান্ত আছে, এর এক তৃতীয়াংশেরও বেশি অংশ নিয়ে বিরোধ আছে।
উভয় দেশেই রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি আছে এবং উভয়ের সঙ্গেই মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্রতা আছে। শত্রুতা থামাতে মস্কো শুক্রবার উভয় মিত্রের প্রতিই ‘জরুরি’ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে একটি অস্ত্রবিরতি শুরু হলেও পরে তাদের দুটি গ্রামে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে বলে কিরগিজস্থান অভিযোগ করে।
তাজিক বাহিনী ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা।
অপরদিকে তাজিকিস্তান অভিযোগ করে বলেছে, কিরগিজ বাহিনীগুলো একটি তাজিক সীমান্ত চৌকি ও সাতটি গ্রামে ‘ভারী অস্ত্র’ থেকে গোলাবষর্ণ করছে।