7.3 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

বন্যায় না খেয়ে মরলেও সম্মান রক্ষার্থে ঘর ছাড়বে না যে গ্রামের নারীরা

বন্যায় না খেয়ে মরলেও সম্মান রক্ষার্থে ঘর ছাড়বে না যে গ্রামের নারীরা

ভয়াবহ বন্যায় সবকিছু হারিয়েও, সম্মান রক্ষায় ভিটেমাটিতে আঁকড়ে থাকতে চাইছেন পাকিস্তানের একটি ছোটো গ্রাম বস্তি আহমেদ দীনের নারীরা। প্রশানের পক্ষ থেকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আহবান জানানো সত্ত্বেও, প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। বর্তমানে ওই গ্রামের ৪০০টির বেশি পরিবার অনাহার ও রোগের সম্মুখীন হয়েছে।

- Advertisement -

কেন যেতে চাইছেন না গ্রামের নারীরা? এক সংবাদসংস্থা নারীদের উদ্ধৃতি তুলে ধরে জানাচ্ছে যে ত্রাণ শিবিরে যাওয়ার অর্থ হল পরিবারের বাইরে পুরুষদের সাথে মেশা। এতে ‘সম্মান’ হানি ঘটবে বলে মনে করছেন নারীরা। বন্যায় জলমগ্ন পুরো গ্রাম। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে, মজুত খাদ্যের টান পড়বে ভাড়ারে।

এই অবস্থায় নিরাপত্তার স্বার্থে ত্রাণ শিবিরে যাওয়ার ব্যাপারটা গ্রামের প্রবীণদের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন বস্তি আহমেদ দীনের বাসিন্দা, ১৭ বছর বয়সী শিরিন বিবি। তারা বেলুচ। বেলুচরা তাদের নারীদের বাইরে যেতে দেয় না। এমনটাই জানিয়েছেন গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা মোহাম্মদ আমির। নারীদের বাইরে যাওয়ার থেকে, না খেয়ে থাকা বেশি শ্রেয় বলে সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন তিনি।

পরিবারকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে, বস্তি আহমেদ দীনের পুরুষরা সপ্তাহে একদিন ত্রাণ আনতে শিবিরে যায় নৌকা ভাড়া করে। তবে, শত দুর্যোগেও তাদের গ্রাম না ছাড়ার সিদ্ধান্ত এই প্রথম নয়। ২০১০ সালের বন্যায়ও তারা গ্রাম ছেড়ে যাননি বলে জানিয়েছেন আরেক প্রবীণ বাসিন্দা মুরিদ হোসেন। সেই সময়ও নারীদের গ্রামের বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি। সম্মানের স্বার্থে পরিবার নিয়ে ত্রাণ শিবিরে থাকা সম্ভব নয় বলে দাবি করেন।

ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলা করছে পাকিস্তান। বন্যা এতোটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির এক-তৃতীয়াংশই এখন পানির নিচে রয়েছে।

গতকাল বুধবারও বন্যায় সে দেশে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে পাকিস্তানের বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১,৩৪৩। ২২ কোটি জনসংখ্যার দেশে প্রায় তিন কোটি মানুষ ভয়ঙ্কর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যায় এখনও পর্যন্ত সে দেশে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ‌প্রায় এক হাজার কোটি ডলার।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles