8.8 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

কাকে ‘পথহারা নেতা’ বললেন শাজাহান খান?

কাকে ‘পথহারা নেতা’ বললেন শাজাহান খান?
<br >রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান ছবি সংগৃহীত

‘পথহারা নেতা’দের শায়েস্তা করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি ‘পথহারা নেতা’ হিসেবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ইঙ্গিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি ও জামায়াত সন্ত্রাসী দল। তাদের রাজনীতি মানে জ্বালাও-পোড়াও। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম সর্ম্পকে সবাই জানে। এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এই সন্ত্রাসী দল আবার দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা আবার বাংলার মাটিতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে চায়। কিন্তু তাদের আর তাণ্ডব চালাতে দেওয়া হবে না। এবার তাদের শক্তহাতে প্রতিহত করতে হবে। সেই সঙ্গে কিছু পথহারা রাজনৈতিক নেতা যারা বেশ লাফালাফি করেছে তাদেরকেও শায়েস্তা করা দরকার।’

- Advertisement -

গতকাল শনিবার রাতে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দলীয় দ্বন্দ্ব ভুলে আগামীতে রাজপথে থেকে বিরোধী অপশক্তিকে মোকাবিলায় আরও ঐক্যবদ্ধ হতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান শাজাহান খান।

তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন। এখন বিএনপি-জামায়াত সক্রিয় হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা। তারা জয়বাংলা শ্লোগানের পক্ষের শক্তির কণ্ঠ রোধ করতে চায়। এই অপরাজনৈতিক শক্তিই পচাত্তর পরবর্তী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করেছে। এই দেশবিরোধ শক্তিকে যেকোনো মূল্যে রুখতে হবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের তীব্র সমালোচন করে তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মধ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছিল বিএনপি। গাড়িতে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে তারা। জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে বিএনপি-জামায়াত। এই সন্ত্রাসী দলের কার্যক্রম দেশ ও জনগণের বিপক্ষে। অথচ তাদের মহাসচিবের দাবি তারা নাকি সন্ত্রাসী দল না, সন্ত্রাস করে না। তাহলে সন্ত্রাসী দল কারা?’

শাজাহান খান বলেন, ‘দেশকে রাজাকার, আল সামসদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজপথে উত্তাপ ছড়াতে চেষ্টা করবে বিএনপি-জামায়াতসহ তাদের দোসররা। তাই আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গ সংগঠনকে আরও বেশি সংগঠিত হতে হবে। নিজেদের দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি-জামায়াতকে তাদের ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে।’

রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজুর পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি, কেন্দ্রীয় সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক।

এর আগে দুপুর থেকেই রংপুর টাউন হল চত্বরে ফেস্টুন-প্লাকার্ড, ব্যানার নিয়ে বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বর্ধিত সভায় আসেন। সভাস্থলের আশেপাশের এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে শিল্পকলা একাডেমি ও টাউন হল চত্বর।

 

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles