বগুড়ার শেরপুরে সাপেকাটা এক ব্যক্তিকে নিয়ে অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়েছে স্থানীয় এক ভণ্ড কবিরাজ।
জানা গেছে, বেলগাছী গ্রামের ইসাহাক আলী (৬০) রোববার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় ফসলি জমিতে পানি সেচ দিচ্ছিলেন। এ সময় একটি বিষধর সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। সেখান থেকে ধুনট উপজেলার জালশুকা এলাকার গ্রাম্য কবিরাজ ও সাপুড়ে ফজলার হোসেনের কাছে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। ওই কবিরাজ ঝাড়ফুঁক দিয়ে তার পায়ের বাঁধন খুলে দেন।
ওই কবিরাজ জানান, বিষ নেমে গেছে। তবে রোগীকে এক ঘণ্টা পর ছাড়া হবে। এ সময় রোগীর সঙ্গে আসা সবাইকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু পায়ের বাঁধন খুলে দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই ইছাহাক আলী আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে আরও তিন ঘণ্টা ধরে কবিরাজ ইসাহাক আলীকে ঝাড়ফুঁক দেন।
একপর্যায়ে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে সটকে পড়েন ওই কবিরাজ। শেষমেশ ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসাহাক আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন সোমবার সকালে নিহতের স্বজনরা মরদেহ দাফনের জন্য প্রস্তুতি নেন। এদিন সকাল ৮টার দিকে তার জানাজা সম্পন্ন করে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন। ঘটনাক্রমে দুইজন কবিরাজ ও সাপুড়ে সেখানে উপস্থিত হন। তারা জানান সাপে কাটা মৃত রোগী তিনদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকেন। এক পর্যায়ে দাফন করা ব্যক্তিকে কবর থেকে উত্তোলনের অনুমতি প্রার্থনা করেন।
পরিবারের লোকজন তাদের কথা বিশ্বাস করে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে। কিন্তু সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কবিরাজ ঝাড়-ফুঁক দিয়ে ব্যর্থ হন। পরে গ্রামের মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে কবিরাজ পালিয়ে যান। তারপর ইসাহাক আলীর দাফন সম্পন্ন করেন স্থানীয়রা।
সূত্র: আরটিভি