8 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

ফেসবুকে প্রেম, বিয়ের পরেও একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রেজাউল

ফেসবুকে প্রেম, বিয়ের পরেও একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রেজাউল
চিকিৎসক জান্নাতুল নাইম সিদ্দিকা ও রেজাউল করিম রেজা ছবি সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চিকিৎসক জান্নাতুল নাইম সিদ্দিকার (২৭) সঙ্গে পরিচয় হয় রেজাউল করিম রেজার (৩১)। পরিচয়ের এক বছরের মাথায় তারা কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পরেও একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন রেজা। বিষয়টি নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই বাগবিতণ্ডা হতো। একপর্যায়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী স্ত্রীকে হোটেলে ডেকে হত্যা করেন রেজা।

রাজধানীর পান্থপথের একটি আবাসিক হোটেল থেকে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রেজাকে আটকের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

- Advertisement -

র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৭ এর যৌথ অভিযানে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার একটি মেস থেকে রেজাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় আসামির পরিহিত রক্তমাখা গেঞ্জি, মোবাইল ফোন ও ব্যবহৃত ব্যাগ এবং ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ২০১৯ সালে ফেসবুকে ভিকটিমের সঙ্গে রেজার পরিচয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২০ সালের অক্টোবরে তারা পরিবারকে না জানিয়ে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। পরে তারা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বিভিন্ন সময় আবাসিক হোটেলে অবস্থান করতেন।

স্বামী রেজার সঙ্গে একাধিক নারীর সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পেরে বিভিন্ন সময় কাউন্সেলিং করেও বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন সিদ্দিকা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রেজা তার প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত বুধবার ভিকটিমকে তার জন্মদিন উদযাপনের কথা বলে পান্থপথের ফ্যামিলি অ্যাপার্টমেন্টে হোটেলে নেওয়া হয়। সিদ্দিকার জন্মদিন ছিল ১২ আগস্ট।

তবে ওইদিন সকালে হোটেলে উঠার পর ভিকটিমের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা কাটাকাটি, বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয় রেজার। এ সময় রেজা তার ব্যাগ থেকে ধারালো ছুরি বের করে ভিকটিমকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন।

র‌্যাবের কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন আরও জানান, সিদ্দিকাকে হত্যার পর রেজা গোসল করে ভিকটিমের মোবাইল সঙ্গে নিয়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। এরপর আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসযোগে চট্টগ্রামে গিয়ে মুরাদপুরে এক আত্মীয়ের সঙ্গে একটি মেসে আত্মগোপন করেন।

আটক রেজা ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করেন। এমবিএ পড়ার সময় তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর কর্মরত ছিলেন একটি বেসরকারি ব্যাংকে। পরবর্তীতে ২০২২ সালে জুন মাসে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে যোগদান করেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রেজার সঙ্গে এসে পান্থপথের আবাসিক হোটেলটিতে ওঠেন সিদ্দিকা। তারা হোটেলটির ৩০৫ নম্বর কক্ষে ছিলেন। সেখানেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। পরে সেই রুম থেকে সিদ্দিকার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles