0.6 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে

করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সবার জন্যে জরুরী

কানাডার সবচেয়ে বড় প্রদেশ হলো অন্টারিও। অন্টারিওর করোনা পরিস্হিতি ক্রমেই খারাপ থেকে ভয়াবহ অবস্হার দিকে যাচ্ছে। আজ এখানকার পাবলিক হেলথের ডাক্তাররা চরম রাগান্বিত হয়ে টেলিভিশনে তাদের হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাদের হতাশা ও রাগ এখানকার অনেক লোকের মাস্ক না পরা ও ক্রমাগত সামাজিক গ্যাদারিং করে যাওয়াদের বিরুদ্ধে।

আজ এখানে একদিনে ৪৭০০ লোক আক্রান্ত হয়েছে। এই ট্রেন্ড অব্যাহত থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিদিন ১৮০০০ হবে। ফলে আজ থেকে প্রদেশে কারফিউ জারী করার কথা বলা হয়েছে।

- Advertisement -

অর্থনীতি চালু রাখতে গিয়ে আর কিছু লোকের দায়িত্বহীন আচরণের জন্য আজ এই অবস্হা। ভ্যাকসিন আমদানিতেও লিবারেল পার্টির ট্রুডো সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। প্রাদেশিক কনজারভেটিভ ফোর্ড সরকার আরো ব্যর্থ হয়েছে সেগুলো সুস্ঠভাবে বিতরণে।

এখন বাধ্য হয়ে একটি হাসপাতালের পার্কিং লটে অতিরিক্ত ১০০ বেডের আইসিইউ চালু করা হয়েছে। গতবছর যখন করোনা শুরু হয় তখন প্রতিদিন আক্রান্ত হতো হাজার খানেক। তখন সমস্ত নন ইমার্জেন্সী ও নন এসেনশিয়াল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মানুষের চলাফেরা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। অথচ এখন পরিস্হিতি তার চেয়ে পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেলেও নানা ঢিলে ঢালা কায়দায় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছিল। যা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে।

বাংলাদেশের পরিস্হিতিও ভয়াবহ। নাম করা লোকজন যারাই আইসিইউতে যাচ্ছে তাদের বেশীরভাগই আর ফিরে আসছেন না। সাধারণ মানুষের খবরতো আর মিডিয়ায় আসে না। ১৮ কোটি মানুষের দেশ। রাজনীতি সবকিছু নষ্ট করে দিয়েছে। হীন স্বার্থ ছাড়া কোন কিছু প্রচার করা হয় না, বক্তব্য দেয়া হয় না, পদক্ষেপ নেয়া হয় না। যেখানে কানাডার মত উন্নত দেশ যাকে প্রায়ই পৃথিবীর নাম্বার ওয়ান সেরা দেশ বলে ফালতু গর্ব করা হয় সেখানকার সচেতন লোকদের অনেকেই মাস্ক পরছেন না, সেখানে নষ্ট রাজনীতির দেশে সাধারণ মানুষের মাস্ক না পরা বা শারীরিক দুরুত্ব বজায় রাখার সংস্কৃতি রাতারাতি চালু করা খুব সহজসাধ্য নয়।

তবুও সবাইকে বুঝতে হবে, নিজ উদ্যোগে নিজেকে এবং নিজ পরিবারকে কড়া নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে। এমনিতেই মানুষ হাজারো রোগ শোকে ঠিকমত চিকিৎসা পায় না, ব্যয়বহুল চিকিৎসা ব্যবস্হা, সেখানে করোনা ধরলে অসহায়ের মত পরিস্হিতির শিকার হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না। মনে রাখা দরকার, যার যায় সেই বুঝে কি ক্ষতিটাই হয়ে গেল! বাকীদের শুধু ইন্না লিল্লাহ পড়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই।

অলি আল্লাহ, পীর আউলিয়ার দেশ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, দোয়েল কোয়েল ঘুঘু ডাকার দেশের মানুষের উপর নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালার বিশেষ রহমত আছে, তবুও সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। নিজ পরিবার ছাড়া অন্যদের সাথে কোনরকম গ্যাদারিং করা যাবে না। এতদিনকার অভ্যাস আপনাকে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে আবার সামান্য কষ্ট করে সেসব অভ্যাস থেকে নিজেকে দুরে রেখে, ঘর বন্দী করে আপনি নিজের ও পরিবারের জীবন বাঁচাতে পারেন, পারেন প্রতিবেশীর সাহায্যে এগিয়ে আসতে। সবই পারবেন যদি নিজে নিরাপদ থাকেন। নিজে বিপদে পরলে কোন কিছু করেই লাভ হবে না। শিক্ষা, জ্ঞান গরিমা, চালাকি, রাজনীতি, অগাধ সম্পদের মালিক হওয়া, প্রেম ভালবাসা করা সবকিছুই অর্থহীন হয়ে যাবে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles