রাজধানীর শাহজাহানপুরে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিপুকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় সড়কে যানজটে আটকা পড়ে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিও (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে এ ঘটনা ঘটে। এসময় সামিয়া আফরিন প্রীতির পাশেই ছিলেন তার বান্ধবী সুমাইয়া। তিনি ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।
নির্মম এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, প্রীতির বাসা মালিবাগে। তার বাসায় গেস্ট থাকায় সে আমার তিলপাপাড়ার বাসায় থাকবে বলেছিল। আমি তাকে বাসায় আনতে গিয়েছিলাম। আমাদের বহনকারী রিকশাটি সিগন্যালে থামতেই বিকট শব্দ শুনতে পাই। ভেবেছিলাম গাড়ির টায়ার ব্লাস্ট হয়েছে কি না। শব্দ শুনে একপর্যায়ে আমরা দুইজন রিকশার দুই দিক থেকে লাফ দিই।
তিনি বলেন, কিছুক্ষণ পর আমি দেখি প্রীতি মাটিতে শুয়ে আছে। সে উঠছে না। পাশের একজন বলল প্রীতি হয়ত সেন্সলেস হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আমি মনে করেছিলাম সে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারি সে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। মোটরসাইকেল আরোহী খুনি আগে থেকেই টিপুর গাড়িকে অনুসরণ করে আসছিল।
একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা যায়, মাইক্রোবাসে চালকের পাশের সিটে বসা ছিলেন টিপু। গাড়িটি এজিবি কলোনি থেকে খিলগাঁও রেলগেইটের দিকে যাচ্ছিল। ইসলামী ব্যাংকের উত্তর শাহজাহানপুর শাখার সামনে মাস্ক পরা একজন কাছ থেকে গাড়িতে গুলি চালায়। এরপর আততায়ী সড়ক বিভাজক টপকে গুলি করতে করতে রাস্তার অন্য পাশে অপেক্ষমাণ মোটরসাইকেলে গিয়ে ওঠেন।
প্রীতির বাবার নাম জামাল উদ্দিন। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়িতে। বর্তমানে রাজধানীর পশ্চিম শান্তিবাগে মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন সামিয়া আফরিন প্রীতি।
সূত্র : নতুন সময়