-0 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

কানাডার ভ্যাকসিনেশনের হার অনেকটাই শ্লথ হয়ে পড়েছে

কানাডার ভ্যাকসিনেশনের হার অনেকটাই শ্লথ হয়ে পড়েছে
ভ্যাকসিন ক্লিনিক পরিদর্শনে অন্টারিও প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড

কানাডার ভ্যাকসিনেশনের হার অনেকটাই শ্লথ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিচ্ছেন মোট জনসংখ্যার মাত্র দশমিক ১ শতাংশ। ১ জুলাইয়ের পর থেকে মাত্র ৫ শতাংশ কানাডিয়ান প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের হার বাড়লেও তা কমতির দিকে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়ছে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার হার। ১ আগস্টের পর ভ্যাকসিন ডোজ পূর্ণ করেছেন কানাডার মোট জনসংখ্যার মাত্র ৭ শতাংশ। যদিও আগের তিন সপ্তাহে এ হার ছিল ২২ শতাংশেল ওপরে।

কানাডা এখন পুরোপুরি মহামারির চতুর্থ ঢেউয়ের কবলে এবং উচ্চ মাত্রায় সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে আগের ঢেউয়ের চেয়ে এই ঢেউ নাটকীয় হতে পারে বলে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রদেশ ও অঞ্চলগুলোতে এখন দৈনিক ৩ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হচ্ছেন।

- Advertisement -

চলতি বছরের ২৪ মের পর শুক্রবার একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩ হাজার ৭৫৫ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন। বুধ ও বৃহস্পতিবারে আক্রান্তের সংখ্যার চেয়েও যা বেশি। ওই দুই দিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন দৈনিক গড়ে ৩ হাজার জনের বেশি। আর গত সপ্তাহে নতুন রোগী সনাক্ত হয়েছিলেন ২০ হাজার। সাত দিনের গড় হিসাবে যা ২ হাজার ৯৩৪ জন। ৩১ মের পর এটা দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণ।

গত জুলাইয়ের তুলনায় বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণ ৬৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। জুলাইয়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল গড়ে ৩৯৬। হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যাও আবার বেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সারাদেশে ১ হাজার জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। জুনের পর একদিনে এতো বেশি সংখ্যক কোভিড রোগীর হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা এই প্রথম। শুক্রবার সংখ্যাটি আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৪৬-এ। এছাড়া ৩৫০ জন রোগী বর্তমানে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছেন।

তবে সাম্প্রতিক সংক্রমণের ফলে মৃতের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করাটা কঠিন। কারণ, অন্টারিও এবং কুইবেকের মতো প্রদেশে আগে মৃতের সংখ্যা দেখানো হচ্ছে। উপাত্ত সংশোধনের কারণেই এমনটা দেখা যাচ্ছে। তবে আগের ঢেউয়ের তুলনায় মৃতের সংখ্যা যে বাড়তির দিকে সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট।

গ্রীষ্মে প্রতিদিন যেখানে গড়ে সাতজন করে কোভিড রোগী মারা যেতেন, বর্তমানে সেটা দুই অংকের ঘরে পৌঁছে গেছে। শুক্রবার নতুন করে ২৬ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জনই অন্টারিওর।

বর্তমানে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি দেখাচ্ছে মূলত ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, আলবার্টা, অন্টারিও এবং কুইবেকের মতো জনবহুল প্রদেশগুলোর কারণে। এর মধ্যে কোনো কোনো প্রদেশের সংক্রমণ গত এপ্রিলের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বলতে গেলে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসহ প্রায় সব অঞ্চলেই সংক্রমণ বর্তমানে উর্ধ্বমুখী। ্উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সংক্রমণ তিনগুণ বেড়েছে।

পাবলিক হেলথ এজেন্সি অব কানাডার উপাত্ত বলছে, বর্তমানে ৯০ শতাংশ সংক্রমণই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে। ৭ আগস্টের উপাত্ত অনুযায়ী, কানাডায় মোট আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ ছিলেন সেইসব মানুষ, যারা উভয় ডোজ ভ্যাকসিনই নিয়েছেন। আক্রান্তদের ৮৮ শতাংশই ভ্যাকসিন নেননি অথবা একটিমাত্র ডোজ নিয়েছেন।

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ট্র্যাকারের প্রাক্কলন অনুযায়ী, ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী ৮৩ দশমিক ৭ শতাংশ কানাডিয়ান অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এদের মধ্যে উভয় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৭৫ দশমিক ৮ শতাংশ। আর কানাডার মোট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ উভয় ডোজ এবং ৭৩ শতাংশ এক ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles