1.6 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

‘ওমিক্রনই করোনার শেষ ধরন না’

‘ওমিক্রনই করোনার শেষ ধরন না’ - the Bengali Times
অতিসংক্রামক ওমিক্রন চলতি বছরের শুরু থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করেছে

অতিসংক্রামক ওমিক্রন চলতি বছরের শুরু থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করেছে। বারবার রূপান্তরিত হয়ে অতি শক্তিশালী হয়ে ওঠছে।

ওমিক্রনকে প্রতিরোধ করতে পারলেই করোনা থেকে নাজাত মিলবে বলে অনেকের মনে হতে পারে। কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনার কারিগরি প্রধান মারিয়া ভ্যান বলেন, এই ভাইরাসটি এখনও নিজের ভোল বদলাচ্ছে। আমাদেরও সেই মতো করে বদলাতে হবে।

- Advertisement -

বিশেষজ্ঞের মতে, টিকার মাধ্যমেই করোনার মোকাবিলা করতে হবে। বিশ্বজুড়ে আরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

মারিয়া ভ্যান আরও বলেন, করোনার বর্তমান ঢেউয়ের সঙ্গেই কিন্তু এই ধরন শেষ হয়ে যাবে না। কারণ দুর্ভাগ্যবশত ওমিক্রনই করোনার শেষ ধরন না।

তিনি জানান, ১০০০ কোটি করোনার টিকার ডোজ গোটা বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেলেও এখনো ৩০০ কোটি মানুষ প্রথম ডোজই পাননি। কোনো কোনো দেশ টিকা বিতরণে এগিয়ে থাকলেও বেশ কিছু দেশ অনেকটাই পিছিয়ে। আর সেই জন্যই ভাইরাস নির্মূল হওয়ার প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।

সাধারণ মানুষের চলতি ধারণা ভেঙে দিতে মারিয়া ভ্যান আরও বলেন, ওমিক্রনে যে গুরুতর শারীরিক সমস্যা হচ্ছে না; এমনটা না। হয়তো এই ধরন ডেল্টার চেয়ে কম প্রভাব ফেলে। কিন্তু ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ঘটনাও সামনে এসেছে। তাই এই সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টকে হালকাভাবে নেওয়া একেবারেই উচিত হবে না।

এদিকে বিশ্ব এখন করোনাভাইরাস মহামারির এক গুরুতর সন্ধিক্ষণে আছে বলে সতর্ক করে দিয়ে এর তীব্রতা রুখতে সব দেশকে এক জোট হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেবরিয়াসুস।

তিনি বলেন, করোনাকে শেষ করতে যা যা প্রয়োজন, তার সবই এখন আমাদের হাতে আছে। গেবরিয়াসুস বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির তৃতীয় বছর শুরু হয়েছে এবং আমরা এখন খুবই গুরুতর এক সন্ধিক্ষণে আছি।

তার মতে, এই মহামারির তীব্রতা রুখে দিতে আমাদের অবশ্যই একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা (বছরের পর বছর) এভাবে মহামারি টেনে নিয়ে চলতে পারি না। এভাবে আতঙ্কে আর অবহেলায় দিন চলতে পারে না।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles