5.8 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

অন্টারিওতে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে সংক্রমণ, কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ

অন্টারিওতে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে সংক্রমণ, কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিন এলিয়ট এক বিবৃতিতে বলেছেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সন্ধিক্ষণে আছে অন্টারিও

কঠোর বিধি নিষেধ এবং টিকা প্রদানের মধ্যেই কানাডায় করোনা মহামারীর দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না, বরং উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে ক্রমবর্ধমানহারে করোনাভাইরাস বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে অন্টারিওতে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে এর সংক্রমণ। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, সরকার কর্তৃক বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেয়া সত্বেও করোনাভাইরাসকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রিত করা যাচ্ছে না। প্রদেশের বাসিন্দারা আশঙ্কার মধ্য দিয়ে দিনযাপন করছেন। গত বছরের ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ থেকে অন্টারিওজুড়ে লকডাউন কার্যকর হয় এবং বিপুল সংখ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে পড়ে।

ফোর্ড সরকার এরপর দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পাশাপাশি সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ১২ জানুয়ারি স্টে-অ্যাট-হোম অর্ডার জারি করে। এবার লকডাউনের আওতায় থাকা গ্রে জোনসহ অন্যান্য অঞ্চলে বিধিনিষেধ কঠোর করতে যাচ্ছে অন্টারিও। ১৫ মার্চ রাত ১২টা ১ মিনিটে গ্রে লকডাউনে প্রবেশ করে ল্যাম্বটন জনস্বাস্থ্য ইউনিট। একই সময়ে নর্থ ওয়েস্টার্ন জনস্বাস্থ্য ইউনিট প্রবেশ করে রেড জোনে। আর গ্রেনভিল অ্যান্ড লানার্ক ডিস্ট্রিক্ট জনস্বাস্থ্য ইউনিট ঢুকে ইয়েলো জোনে। সাডবারিতে লকডাউন আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পরদিনই এ সিদ্ধান্তের কথা জানাল অন্টারিও। শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটে সাডবারি জনস্বাস্থ্য ইউনিটে লকডাউনি কার্যকর হয়েছে। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসারদের সঙ্গে পরামর্শ করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

- Advertisement -

৩ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত ল্যাম্বটনে সংক্রমণের হার বেড়েছে ৩০ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রতি এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১০ জন। এ অঞ্চলে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির হারও ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে গ্রেটার টরন্টো এরিয়া জনস্বাস্থ্য ইউনিটের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিন এলিয়ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সন্ধিক্ষণে আছে অন্টারিও। বর্তমানে আমরা যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছি তা জনগণকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবে। প্রথম ধাপের ভ্যাকসিনেশন প্রায় শেষ করে এনেছি আমরা। আগামী মাসে দ্বিতীয় ধাপের ভ্যাকসিনেশনের প্রস্তুতি আমরা শুরু করে দিয়েছি। জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে তারা যেনো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন এবং সংক্রমণ রোধ ও হাসপাতাল ব্যবস্থার সক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়তা করেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles