8 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

মসজিদের জমি দখল করে ভবন নির্মাণ প্রভাবশালীর

মসজিদের জমি দখল করে ভবন নির্মাণ প্রভাবশালীর - the Bengali Times

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চান্দা ইউনিয়নের গোয়ালদি জামে মসজিদের নামে ওয়াকফকৃত জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

- Advertisement -

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষে মিজানুর রহমান স্বপন ফরিদপুর ডিসি অফিস, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভূমি অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগ পেয়ে এলাকার তসিলদার রুহুল আমিন ভবন নির্মাণ কাজ মৌখিক ও চিঠি দিয়ে বন্ধে করার নির্দেশ দিলেও প্রভাবশালী জালালউদ্দিন নির্মাণ কাজ বন্ধ করেন নাই।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মালিগ্রাম-কালামৃধা ফিডার সড়কের ১১৭নং গোয়াদী মৌজার বিএস দাগ নং ০৪, জমির পরিমাণ ৩.০৫ শতাংশ। উক্ত জমি প্রায় ১৫ বছর পূর্বে এলাকার কাওছার মাতবর, গিয়াস মাতবর ও জালাল মাতবর তারা গোয়ালদী জামে মসজিদের নামে জমি ক্রয় করে তাহা ওয়াকফ করে দেন।

এরপর মসজিদ কমিটির সভাপতি আফিলউদ্দিন মাতবরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি ওই জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। সেখান থেকে যে টাকা আয় হবে ওই টাকা মসজিদের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হবে। কিন্ত এলাকার প্রভাবশালী জালালউদ্দিন মাতবর অবৈধভাবে জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন। এলাকাবাসী বাধা দিলে মারধরসহ হুমকি দামকি ও ভয়ভীতি প্রদান করেন।

অভিযোগকারী মিজানুর রহমান স্বপন বলেন, গোয়ালদী জামে মসজিদের নামে ওয়ার্কফকৃত জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করছে জালালউদ্দিন মাতবর। আমিসহ এলাকাবাসী মসজিদের জায়গায় ভবন নির্মাণে বাধা দিলে তিনি উল্টো পুলিশ নিয়ে এসে আমাকে ভয় দেখায় এবং এলাকার মস্তান দিয়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

এলাকার তহসিলদার এসে কয়েকবার কাজ বন্ধ করতে বললেও তারা কারো কথায় কর্ণপাত করেন না। এ ঘটনায় বর্তমানে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মসজিদের জায়গা উদ্ধার ও নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে জালালউদ্দিন মাতবর বলেন, আমার কাছে জমির কাগজপত্র আছে তাই আমি ভবন নির্মাণ করছি।

চান্দ্রা ইউনিয়নের তহসিলদার রুহুল আমিন জানান, আমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেই। কিন্ত আমি চলে আসার পর জালাল মাতবর আবার কাজ শুরু করে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া তার নির্মাণ কাজ একেবারে বন্ধ করা সম্ভব না।

ভাঙ্গা থানার এসআই সহিদুল্লাহ বলেন, আমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে বিষয়টি নিয়ে এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে বসে মীমাংসার কথা বলেছি।

সূত্র : নতুন সময়

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles