10.7 C
Toronto
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

সমস্যার সমাধান জনসাধারণকেই করতে হবে

সমস্যার সমাধান জনসাধারণকেই করতে হবে
মৃত্যুকে মনে নেওয়ার চাইতে প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরী

আফগানিস্থানে সমস্যার সমাধান তাদের দেশের জনসাধারণকেই করতে হবে। অন্য কোন দেশ আফগানিস্থানের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান দিতে পারবে না।

দেশটির জনগন তালেবানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে না তুলে দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে চলে যেতে চাচ্ছে। কিন্তু সবাই তো আর দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারবে না। অধিকাংশেরই দেশে থেকে যেতে হবে। তাদের অনেকের ভাগ্যে মৃত্যু অবধারিত। তাই মৃত্যুকে মনে নেওয়ার চাইতে প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরী। কিন্তু প্রতিরোধ গড়ে তোলার মতো সক্ষমতা তাদের নেই। উঠে দাড়ানোর মানসিক শক্তি তারা হারিয়েছে। একটা দেশের জনগন যখন প্রতিনিয়ত মৃত্যুর পরোয়ানা গুনতে থাকে তখন তাদের পক্ষে ঘুরে দাড়িয়ে প্রতিরোধ করা কঠিন।

- Advertisement -

এটাই আফগানিস্থানের জনগনের বাস্তব অবস্থা।

তালেবানরা অনেক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তারা কোন প্রতিশোধ নিবে না। কাউকে হত্যা করবে না। সামান্য কিছু পরিবর্তন ছাড়া তারা সব আগের মতই চলতে দিবে।

কিন্তু জনসাধারণের মধ্যে তালেবানদের এই সব প্রতিশ্রুতি কোন আস্থা সৃষ্টি করেনি। তালেবানদের প্রতি জনসাধারণের রয়েছে প্রচন্ড অবিশ্বাস। কারন, তালেবানরা কোন না কোন সময় তাদের ক্লিঞ্জিং অভিযান শুরু করবে। ২০ বছর ধরে তালেবানদের মনে নানা ক্ষোভ জমা হয়েছে। সেই ক্ষোভগুলি আস্তে আস্তে প্রকাশ্যে রূপ নিবে। কিছু আলামত ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে। “জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম ডয়চে ভেলের একজন সাংবাদিকের বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁকে না পেয়ে পরিবারের এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছেন তালেবান যোদ্ধারা। তাঁদের হামলায় আরও একজন আহত হয়েছেন বলে জার্মানির রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।” বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে তালেবানরা খুঁজে বের করে হত্যা করেছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, তারা খুব অল্প সময়েই তাদের পতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে।

আফগানিস্তানের জনসাধারণকে তাদের দূর্বল অবস্থা কাটিয়ে ঘুরে দাড়াতে হবে। প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া তাদের কাছে অন্য পথ খোলা নেই। তাদের নিজেদের ঘরের আবর্জনা নিজেদেরকেই পরিষ্কার করতে হবে।

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles