12 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

স্বাধীনতার ৫০ বছর

স্বাধীনতার ৫০ বছর
মুক্তিযদ্ধের চিত্রকর্ম

আপনি তখনই কোন দেশের প্রকৃত নাগরিক, যখন আপনার দেশের যেকোনো নাগরিকের মৃত্যু আপনাকে ব্যথিত করবে। মৃত ব্যক্তি মন্দ হলেও। তা না হলে আপনি একজন অসম্পূর্ণ মানুষ। নাগরিকত্ব দাবি করার সময় হয় নাই।

বাংলাদেশের রাজনীতির সবচাইতে বড় সুবিধা হলো, দল/নেতা কাজ ভালো করুক বা খারাপ করুক, তাদের কাস্টমার (ভোট) ধরাবাধা। জীবনেও ছাড়বে না, কচ্ছপের মতো জন্মের কামড় দিয়ে ঝুলে থাকবে আমরণ। দল ছাড়লে যদি কেউ বলে- “এতদিন ঘোড়ার ঘাস কাটলি”? ভোল পাল্টাতে চাইলেও “পাছে লোকে কিছু বলে”র ফিল্টারে আটকায়ে যাবে।

- Advertisement -

যেন জীবনের মুখ্য উদ্দেশ্য রাজনৈতিক পরিচয় বজিয়ে রাখা! যেখানে কবিও কবিতা লেখে দলীয়, লেখক প্রবন্ধ লেখে দলীয়, পিতামাতা সন্তানকে শেখায় নিজস্ব গন্ডির চাপিয়ে দেওয়া তথ্য। বাপ ভাই রাজনীতি করছে, সেই ঐতিহ্য আমি কেমনে ছাড়বো? বুকে নিয়েই বাঁচতে হবে আজীবন? মাফিয়া চক্রের মতো; একবার ঢুকলে যেন আর বের হবার কোনো রাস্তা নাই? মুখে বড় বড় কথার শেভিং ফোম বের করবে গলগল করে.. আত্ম তৃপ্তি নিয়ে ঘুমাতে যাবে।

নিজ চিন্তা, আদর্শের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই খাম্চাতে তেড়ে আসবে পাগলা বিড়ালের মতো। মারামারি করবে মোরগের মতো, খ্যাপা শালিকের মতো। পালাবে মুরগির মতো। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করবার কথা ভাবতে ভাবতে পেটে আলসার বাধিয়ে ফেলবে।

কিন্তু ঘটনা হলো, আমরা অধিকাংশ মানুষই এক রসুনের কোয়া। সবার মগজও ঐ রসুনের পাছায়; সেখান থেকেই পাইপ দিয়ে কোয়ায় কোয়ায় বুদ্ধি সাপ্লাই দেওয়া হয়। সেই রসুনের কোয়া মুক্তি পেয়ে শুধু খোলস চেঞ্জ করে কেউ যায় ডানে, কেউ বামে। মগজ থাকে অরিজিনাল। তাই এখন ঘরে ঘরে দেশপ্রেমী, দেশ বিরোধী তকমা পাওয়া মানুষে ভরা।

স্বাধীনতার ৫০ বছর! খুব আনন্দের কথা, কত গর্বের কথা!

তবে আমরা আরো আরো আরো অনেক স্বাধীন হতে চাই! আমরা আরো অনেক অনেক স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে চাই, যে চেতনায় থাকবে প্রতিটা নাগরিকই মানুষ; ভালো মন্দ সব মানুষই নাগরিক। মন্দের জন্য আছে বিচার বিভাগ। যেকোনো মানুষের অস্বাভাবিক/অপমৃত্যু মানেই একটা দেশের চরম ব্যর্থতা, রাষ্ট্র বিরোধী। “আমি ভালো, তুই খারাপ তুই মর”… চিন্তা করা মানে রাষ্ট্র কী, দেশ কী, দেশপ্রেম কী, স্বাধীনতা কী; এসবের অর্থই সে জানে না। প্রতিহিংসাকে ‘দেশপ্রেম’ বলে ভাবার মতো মূর্খতা আর নাই।

আমাদের বাংলাদেশ বেঁচে থাকুক আজীবন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে থাকুক মান সম্মান নিয়ে। সব নাগরিক বেঁচে থাকুক।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles