10.8 C
Toronto
রবিবার, মে ৫, ২০২৪

মুরাদ অসংখ্য মেয়েকে ধর্ষণ করেছে : তসলিমা

মুরাদ অসংখ্য মেয়েকে ধর্ষণ করেছে : তসলিমা - the Bengali Times
ফাইল ছবি

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে চিত্রনায়ক ইমন ও নায়িকা মাহিয়া মাহির কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

অডিও ক্লিপটিতে শোনা যায়, মাহিকে তাৎক্ষণিক তার কাছে যেতে বলছেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ। নায়িকা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং হু’ম’কি দেন তিনি।

- Advertisement -

এরপরই ডা. মুরাদ হাসানকে নিয়ে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরেই নিজ দফতরে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ডা. মুরাদ।

প্রতিমন্ত্রীর ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে কথাসাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়ে ডা. মুরাদের সমালোচনা করেছেন।

তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মন্ত্রী মুরাদ হাসান খুব ব্রুটালি মাহিকে ধ’র্ষ’ণ করতে চেয়েছে। আমরা যারা তার সেই ফোনালাপ শুনেছি, তারা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারি যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লোকটি অসংখ্য মেয়েকে ধ’র্ষ’ণ করেছে।

তার চালচলন আচার ব্যবহার সব বলে দেয় যে সে ধরাকে সরা জ্ঞান করে। কে তাকে এত ব’র্ব’র হওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছে? এও অনুমান করতে পারি, কে।

লোকটি মাতাল হয়ে মানুষকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। নেত্রীর আশকারা তাকে কোথায় উঠিয়েছে! উঠিয়েছে নাকি নামিয়েছে? আমি তো বলবো মানুষ হিসেবে তাকে অনেক নিচে নামিয়েছে।

মুখে যতই জামায়াতবিরোধী কথা বলুক না কেন, লোকটি আসলে জামাতপন্থি। আমাকে চেনে না, জানে না, আমার কোনো বই পড়েনি, আমার আদর্শ আর বিশ্বাসের, আমার সততা এবং সংগ্রামের কিছুই না জেনে আমার সম্পর্কে বিজ্ঞের মতো বলে গেল কতগুলো কুৎসিত মিথ্যা।

ঠিক জামায়াতিরা যেভাবে বলে, যা বলে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? আমি নাকি কাপড় তুলে বা খুলে কোথাও প্রস্রাব করেছি।

প্রস্রাব করলে তো কাপড়ে করা ঠিক নয়, কাপড় খুলে বা তুলেই করতে হয়। আমাকে প্রস্রাব করতে দেখেছে জামায়াতিরা, ওয়াজিরা আর মন্ত্রী মুরাদ।

আমি নিশ্চয়ই তাহলে এমন জায়গায় প্রস্রাব করেছি যেখানে জামায়াতিরা আর ওয়াজিরা গিজগিজ করছিল, আর তাদের দোসর হিসেবে মন্ত্রী মুরাদ সেখানে উপস্থিত ছিল। কোনো মসজিদে, ওয়াজ মাহফিলে বা কোনো ইজতেমায়! নিশ্চয়ই। তা না হলে ওরা সবাই আমাকে কী করে প্রস্রাব করতে দেখলো!

অনেক দিন শুনেছি জামায়াতি আর আমাতি বা আওয়ামি লীগে কোনো তফাৎ নেই। ধীরে ধীরে টের পেয়েছি, আসলেই কোনো তফাৎ নেই।

জামায়াতিরা যেভাবে আমার বয়ফ্রেন্ডের সংখ্যা গোনে, ঠিক একইভাবে মন্ত্রী মুরাদও গুনেছে। আমার নাকি অনেক বয়ফ্রেন্ড। তা থাকুক না অনেক। আমি তো পুলিশ, এনএসআই, ডিজিএফ ইত্যাদি দিয়ে কোনো পুরুষকে জোর করে থ্রেট করে তুলে এনে বয়ফ্রেন্ড বানাইনি!

লোকটির দুটো তিনটে ইন্টারভিউ, ফোনালাপ ইত্যাদি দেখে বুঝলাম, লজ্জা নেই। কারও পা চাটতেও লজ্জা নেই, কাউকে ভয় দেখাতে, হুমকি দিতে, অ’শ্লী’ল গালিগালাজ করতে, কাউকে ধ’র্ষ’ণ করতেও লজ্জা নেই।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles