
কিশোরীকে ধর্ষণের পর অজ্ঞান অবস্থায় গাড়ির চাকার নিচে ছুড়ে মারার অভিযোগ ওঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বরেলীর ফরিদপুর গ্রামে। শনিবার (১১ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ওই প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রথমে কিশোরীকে দুই যুবক মিলে ধর্ষণ করেন। তখনই জ্ঞান হারায় কিশোরী। এরপর কিশোরীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন দুই যুবক। তারা কিশোরীর হাত পা দড়ি দিয়ে বেধে একটি মালবাহী ট্রলির চাকার নিচে ছুড়ে মারে। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। তবে ওই কিশোরী ট্রলির চাকার নিচে না পড়ে ঘটনাচক্রে বেঁচে যান।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা কিশোরীকে রাস্তা থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে তার জ্ঞান ফিরতে দীর্ঘ সময় লেগেছিল।
পুলিশের ধারণা, ধর্ষণের আগে কিশোরীকে মাদকদ্রব্য খাওয়ানো হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ওই কিশোরীর পরিবারকে খবর দেয়। পরিবারের সদস্যদের কাছে গোটা ঘটনাটি সে ব্যাখ্যা করেছে। সেই অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ফরিদপুর থানায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
তবে অভিযুক্ত দুই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে। এখনও তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাদের খোঁজছে পুলিশ।