মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের গবেষকরা এক অভিনব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রোগ্রাম তৈরি করেছেন। এর সাহায্যে যেকোনো লেখা থেকে তৈরি করা যাবে মিউজিক। এই মিউজিকগুলো এক থেকে দেড় মিনিট পর্যন্ত লম্বা হবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে শিস বা গুনগুন করা সুরকে অন্য বাদ্যযন্ত্রের মিউজিকেও পরিবর্তন করা যায়।
কিন্তু এবারই প্রথমবারের মতো লেখা থেকে তৈরি হবে মিউজিক। গুগলের কিছু গবেষক তাদের এই নতুন গবেষণা নিয়ে ‘মিউজিকএলএম, জেনারেটিং মিউজিক ফ্রম টেক্সট’ শীর্ষক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। পুরো মডেলটির নাম দেয়া হয়েছে ‘মিউজিকএলএম’। তবে জনসাধারণের জন্য এখনই উন্মুক্ত নয় এটি।
আপাতত এটি ব্যবহার করে কিছু বাজানো যাবে না। গুগলের গবেষকরা যদিও কিছু স্যাম্পল গবেষণাপত্র সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে জুড়ে দিয়েছেন।
তবে যেটাই তারা জুড়ে দিক না কেন, সেগুলোকে বেশ চমকপ্রদ হিসেবেই উল্লেখ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই। কারণ একটি অনুচ্ছেদের বর্ণনা থেকে প্রায় ৩০ সেকেন্ডের একটি মিউজিক তৈরি করেছে গুগলের নতুন এই প্রযুক্তি।
অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, এটি শুনতে প্রকৃত গানের মতোই।
মিউজিকএলএম নামক নতুন এই প্রযুক্তি মানুষের কণ্ঠও অনুকরণ করতে পারে। তবে এ ধরনের পদক্ষেপ এটিই প্রথম নয়। কিন্তু মিউজিকএলএমের রয়েছে সমৃদ্ধ ডেটাবেজ। এই ডেটাবেজে আছে দুই লাখ ৮০ হাজার ঘণ্টার মিউজিক।
এর সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে গুগলের এই নতুন প্রোগ্রামটি। গুগলের গবেষকরা এখনো কাজ করছেন। প্রতিনিয়ত আনা হচ্ছে নতুনত্ব। যাতে যেকোনো টেক্স থেকে ভালোমানের মিউজিক তৈরি করা যায়। নতুন এই ফিচারটি জনসাধারণের জন্য কবে উন্মুক্ত হবে, গুগলের গবেষকরা এ বিষয়ে এখনই কিছু জানাননি।
সূত্র: দ্য ভার্জ