10.9 C
Toronto
মঙ্গলবার, মে ৬, ২০২৫

প্রেমের টানে জমি বিক্রি করে ভারতে আসেন সেই পাকিস্তানি নারী

প্রেমের টানে জমি বিক্রি করে ভারতে আসেন সেই পাকিস্তানি নারী - the Bengali Times
নিজেকে এখন ভারতীয় মনে হচ্ছে বলে জানান সীমা

প্রেমের কোনো বয়স নেই, প্রেম মানে না বাধা, বুঝে না দূরত্ব। তারই যেন এক নজির গড়েলেন পাকিস্তানি নারী সীমা। প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে চার সন্তান নিয়ে অবৈধ পথে ভারতে গেছেন, পেতেছেন সংসার। অবৈধভাবে ভারতে বসবাস ও প্রবেশের দায়ে গত ৪ জুলাই সীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার জামিনে মুক্তি পেয়েছে সীমা।

ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, পাবজি গেম খেলতে গিয়ে ভারতের নয়ডার সচিন নামে এক যুবকের সঙ্গে পাকিস্তানি নারী সীমা গুলামের পরিচয় হয়। এরপর তা প্রেমে রুপ নেয়। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় দেশভাগের কাঁটাতার।

- Advertisement -

পাকিস্তান থেকে ৪ সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সীমা ভারতে আসেন। তবে যে পন্থা অবলম্বন করে তিনি ভারতে আসেন, তা সঠিক নয়। সীমা নেপালের পথ ধরে ভারতে চলে আসেন। তাকে ও তার ৪ সন্তানকে নিয়ে সীমা নয়ডায় সচিনের সঙ্গে একসঙ্গে ঘর বাঁধেন।

এনডিটিভি জানিয়েছে, তারা দুইজনে এখন নতুন করে জীবন শুরু করার স্বপ্ন দেখছেন। সীমা এনডিটিভিকে বলেছেন, আমার স্বামী একজন হিন্দু তাই আমিও হিন্দু এবং এখন আমি অনুভব করি আমিও একজন ভারতীয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুই যুগলের পরিচয় করোনাকালীন সময়ের। এরপর পরিচয় এবং চলতি বছরের মার্চে নেপালে সীমা (৩০) ও সচিন বিয়ে করেন। সেইদিনেই তাদের প্রথম মুখোমুখি দেখা হয়।

এ নিয়ে সীমা বলেন, এটি একটি দীর্ঘ ও কঠিন যাত্রা ছিল। আমিও খুব ভয় পেয়েছিলাম। আমি প্রথমে করাচি থেকে দুবাই যাই। সেখানে আমি ১১ ঘন্টা অপেক্ষা করেছি এবং ঘুমাতে পারিনি। এরপর নেপাল যাই এবং পোখারায় সচিনের সঙ্গে দেখা হয়।

এরপর তারা দুইজনে নিজেদের দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে সীমা তার স্বামীর সঙ্গে একপ্রকার মতবিরোধ করে পাকিস্তানি মুদ্রায় ১২ লাখ রুপির জমি বিক্রি করে এবং তার নিজের ও চার সন্তানের জন্য নেপালি ভিসা ও ফ্লাইটের টিকেট কাটেন।

মে মাসে তিনি দুবাই হয়ে নেপালে আসেন এবং পোখারা শহরে কিছু সময় কাটান। এরপর কাঠমুন্ডু থেকে দিল্লির উদ্দেশে বাসে করে সন্তানসহ আসেন এবং ১৩ মে গ্রেটার নয়ডায় পৌঁছান। সেখানে সচিন তাদের থাকার জন্য বাসা ভাড়া নেন এবং সীমার পরিচয় গোপন রাখেন।

গতকাল জামিনে মুক্তির পর সীমা বলেন, আমি এই খবর পাওয়ার পর আনন্দে চিৎকার করেছি। আমি ভেবেছিলাম আমায় কয়েক মাস জেলে থাকতে হতে পারে।

এনডিটিভি বলছে, এখন তারা বৈধভাবে ভারতে থাকার কাগজপত্র ব্যবস্থা করার কাজ করবে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles