10.2 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

সিআইএ’র ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন মাজিদ খান

সিআইএ’র ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন মাজিদ খান - the Bengali Times
আল কায়েদার সাবেক সদস্য মাজিদ খান

প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারের কোন বন্দি তার ওপর চলা সিআইয়ের অকথ্য নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানায়, বৃহস্পতিবার কিউবার গুয়ানতানামোয় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আদালতে ৩৯ পাতার একটি বিবরণ পাঠ করেছেন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আল কায়েদার সাবেক সদস্য মাজিদ খান।

আল জাজিরা জানায়, মাজিদ খান যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের বাসিন্দা। তিনি ছিলেন আল কায়েদার বার্তাবহনকারী। মাজিদ খান জানিয়েছেন, বিবস্ত্র করে মারধর, কুকুরের মতো শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা, ছাদের সঙ্গে হাত বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা, শ্বাসরোধ করতে নাকে-মুখে পানি ঢালা,

- Advertisement -

জোর করে খাওয়ানোর মতো আরও ভয়ংকর যে সব নির্যাতন চলত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র কথিত ‘ব্ল্যাক সাইট’ যুক্তরাষ্ট্রে নাইন ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলার পর এই ‘ব্ল্যাক সাইট’ এ কথিত সন্ত্রাসীদের জিজ্ঞাসাবাদে ব্যবহার করা হতো।

এদিকে আল জাজিরা জানিয়েছে, ৪১ বছর বয়স্ক মাজিদ খান তার বিরুদ্ধে আনা কয়েকটি অভিযোগ স্বীকার করেছেন। অপরাধ প্রমাণিত হলে মাজিদ খানের ২৫ থেকে ৪০ বছরে জেল হতে পারে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

আদালতে মাজিদ খান তার ওপর চলা নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বলেন, আমি ভেবেছিলাম হয়তো মরেই যাব। তিনি বলেন, তাকে বিভিন্ন উপায়ে নির্যাতন চালানো হতো।

কখনো নগ্ন করে ছাদের বিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখা হতো। দিনের পর দিন জাগিয়ে রাখার জন্যে ঠান্ডা পানিতে চুবিয়ে রাখা হতো। এছাড়া মাথা নিচু করে পানির নিচে ডুবিয়ে দেয়া হতো। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের সময় নাকে এবং মুখে পানি ঢুকিয়ে দেয়া হতো বলে জানিয়েছেন তিনি।

খান জানান তিন বছর তাকে সি আই এর ব্ল্যাক সাইটে রাখা হয়। সেখানে সেখানে প্রচুর মারধর করা হতো। এছাড়া সেখানে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি।

পরে ২০০৬ সালে তাকে কিউবায় ডিটেনইশন সেন্টারে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, আমি বহুবার তাদের বলেছি যে আমি যা জানি তা আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি। আমার কাছে আর কোন তথ্য নেই। খান আরও বলেন, আমি যতই তাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছি তারা ততই আমার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে।

সৌদি আরবে জন্মগ্রহণকারী মাজিদ খান ১৯৯০ সালে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যান। বাল্টিমোরে স্নাতক সম্পন্ন করার পর ওয়াশিংটন ডিসিতে টেলিফোন সংস্থায় চাকরি নেন।

মায়ের মৃত্যুর পর তিনি আল কায়েদায় যোগ দেন। ২০০৩ সালে আল কায়েদার হয়ে পাকিস্তান থেকে ইন্দোনেশিয়ায় ৫০,০০০ ডলার পৌছে দেন। সেই অর্থ ইন্দোনেশিয়ায় ম্যারিয়ট হোটেলে বোমা হামলায় ব্যবহার হয়েছিল।

এদিকে আল জাজিরা জানিয়েছে ২৫ থেকে ৪০ বছরের সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা থাকলেও মাজিদ খানকে খুব বেশিদিন সাজা ভোগ করতে হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

মাজিদ দোষ স্বীকার করে তথ্য দিয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করেছেন বলে এই সাজা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles