10.1 C
Toronto
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

মাহির কারামুক্তির পেছনে যে ‘দুই কারণ’

মাহির কারামুক্তির পেছনে যে ‘দুই কারণ’
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ফাইল ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে প্রায় ৬ ঘণ্টা অবস্থান শেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আজ শনিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়। আর মুক্তি মেলে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে।

জামিনের পেছনে দুটি কারণের কথা বলেছেন মাহির আইনজীবী রিপন চন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ দুটি মামলাতেই জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বিজ্ঞ আদালত এই গ্রাউন্ডে মঞ্জুর করেছেন যে, উনি একজন নারী, আর উনি অন্তঃসত্ত্বা।’

- Advertisement -

সৌদি আররে ওমরাহ শেষে আজ সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মাহি। বেলা ১১টার দিকে বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় গাজীপুরে। গাজীপুর মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠান।

আদালত থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মাহিয়া মাহি বলেন, ‘জাজ (বিচারক) আমার সঙ্গে কোনো কথা বলে নাই। জাজ একটা কথাও বলে নাই। জাজ জাস্ট চেয়ারে বসেছেন, আর উঠেছেন। ১ সেকেন্ডের মধ্যে কোর্ট কীভাবে শেষ হয়ে যায়?’

প্রথমবার শুনানিতে মাহিকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া বিচারক সন্ধ্যায় দ্বিতীয়বার শুনানিতে জামিন দেন। জামিন শুনাতিতে অংশ নেন মাহির পারিবারিক আইনজীবী রিপন চন্দ্র সরকার, আনোয়ার সাদত ও কামরুল হাসান। জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছানোর পর যাচাই-বাছাই শেষে তিনি মুক্তি পান।

দ্বিতীয়বার শুনানিতে চিত্রনায়িকা মাহির জামিনের বিষয়ে আইনজীবী রিপন চন্দ্র বলেন, ‘পুলিশের নিরাপত্তার কড়া বেষ্টনিতে থাকায় এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়ায় দুপুরের শুনানিতে প্রথমবার আমরা জামিনের আবেদন করতে পারিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (মাহি) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওমরাহ থেকে দেশে আসেন। দেশে আসার সময় বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।’

গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. আনোয়ারুল করিম বলেন, ‘মাহিয়া মাহির জামিনের কাগজপত্র সন্ধ্যায় সময় কারাগারে পৌঁছে। পরে তা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পাওয়া গেলে সন্ধ্যা পৌনে ৮টায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পর তিনি গাড়িতে করে চলে যান।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে ওমরাহ পালন করতে যান মাহি। সৌদি আরবের মক্কা শহর থেকে গতকাল শুক্রবার ভোরে ফেসবুক লাইভে মাহি অভিযোগ তোলেন, রকিবের গাড়ির শোরুমে ভাঙচুর ও হামলা হয়েছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নেওয়ারও অভিযোগ তোলেন এই নায়িকা।

ওই ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ।

মাহি ও রকিব সরকারের বিরুদ্ধে গাজীপুরে দুটি মামলা হয়। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেছেন বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া। এ ছাড়া জমি দখলের অভিযোগে তাদের নামে হুকুমের আসামি করে অন্য মামলাটি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles