10.3 C
Toronto
রবিবার, মে ৫, ২০২৪

স্বামীর যে পাঁচগুণে খুশি থাকেন স্ত্রী, হয় শুধু রোম্যান্স

স্বামীর যে পাঁচগুণে খুশি থাকেন স্ত্রী, হয় শুধু রোম্যান্স
প্রতীকী ছবি

‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’ বাংলায় এই প্রবাদটি বেশ প্রচলিত। কিন্তু একটি সংসারকে সুখী-সুন্দর করতে কি শুধু রমণীই ভূমিকা রাখতে পারেন, সেখানে কি পুরুষের কোনো ভূমিকা নেই? নিশ্চয় সেটি নয়!

সংসারে দুজন মানুষের সমান ভূমিকা ও গুরুত্ব থাকা উচিত। সংসারে একজন ভালো স্ত্রীর যেমন প্রয়োজন, একইভাবে একজন ভালো স্বামীরও কিন্তু ভূমিকাও কিন্তু কম নয়। অর্থাৎ সংসারে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে প্রকৃতপক্ষে দুজনের ভূমিকাই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

- Advertisement -

তবে আপনি কি জানেন সংসারে স্বামীর মধ্যে কোন পাঁচটি গুণ থাকলে স্ত্রী খুশি হয়? এই পাঁচগুণ থাকলে সংসারে সুখের অভাব হয় না।

মন দিয়ে কথা শোনেন

সব নারীই চান স্বামী তার কথা মন দিয়ে শুনুক। তাই স্ত্রী কী বলছেন বা কী বলতে চাইছেন সেটি মন দিয়ে শুনুন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন। স্ত্রীর কথা না শুনলে বা গুরুত্ব না দিলে ধীরে ধীরে আপনি পানসে হয়ে উঠবেন। এভাবেই সংসারে অশান্তি শুরু হবে। সম্পর্কে সৃষ্টি হবে দূরত্ব।

স্ত্রীর কথা শোনা ঠিক না এমন চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসুন। মনে রাখবেন, কথা শোনা আর সেটি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার মধ্যেও পার্থক্য আছে। তাই স্ত্রীর কথা অবশ্যই মন দিয়ে শুনুন। তারপর নিজের মতামত জানান। এরপর উভয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।

ভাগ করে নেন দায়িত্ব

পরিবারে সুখ-শান্তি রক্ষার দায়িত্ব কিন্তু প্রত্যেকের। স্ত্রীর পাশাপাশি স্বামীরও এই বিষয়ে গুরুত্বসহকারে নজর দেয়া উচিত। স্ত্রী যেমন সংসারের কাজ করবেন, একইভাবে স্বামীকেও কিন্তু সেই দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে।

আর যদি স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরিজীবী হন তবে তো এটি আরও ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে স্বামীকে। স্ত্রী যদি রান্না করেন, তবে স্বামীর উচিত তাকে রান্নার সামগ্রী কেটে-গুছিয়ে সাহায্য করা।

স্ত্রীকে বন্ধু মনে করেন

প্রত্যেক নারীই চান স্বামী তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু হোক। বন্ধুত্বের সম্পর্কে দুজনের অধিকার সমান হয়। দুজনেই দুজনকে সম্মান করেন।

স্বামী যদি বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন, তাহলে নিশ্চিন্তে সব মনের সব কথা তাকে বলা যায়। সমস্যা, সম্ভাবনা সব দায়িত্ব কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পালন করা যায়। সেক্ষেত্রে সহজেই দুজনই দুজনার হয়ে ওঠা যায়। হয় না আস্থার কোনো ঘাটতি।

হাত ছাড়বেন না

পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় রাখার জন্য, ঝগড়া এড়িয়ে যাবার জন্য একে অপরকে বোঝা জরুরি। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারস্পারিক সম্মান। এই সম্মান ভেতর থেকে গড়ে ওঠে।

দুজনের সম্পর্ক যদি মজবুত হয় তাহলে কোনো দাম্পত্য সমস্যাই থাকবে না। তাই স্ত্রীর মতামতকে সম্মান করুন। স্ত্রী আপনার থেকে এইটুকুই আশা করেন। আর আপনি যদি এটুকু করতে পারেন দেখবেন সংসারে শুধুই রোম্যান্স।

সমস্যা হতেই পারে

মতের অমিল হতেই পারে। হতে পারে ছোটখাট সমস্যা। কিন্তু সেসব বিষয় ব্যক্তিগতভাবে তাকে জানান। আপনাদের ব্যক্তিগত মুহূর্তও যেমন থাকবে, একইভাবে ঝগড়াও করবেন ব্যক্তিগত ভাবে।

স্ত্রীর সমস্যা সবার সামনে আনবেন না, অন্য কারও সামনে তার ওপর চিৎকার করবেন না। মনে রাখবেন আপনি ও আপনার স্ত্রী একটি টিম। তাই যে কোনো পরিস্থিতিতে টিম মেম্বারকে সহযোগিতা করুন। তাকে ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন করুন। দেখবেন কোনো সমস্যাই আর সমস্যা থাকছে না।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles