শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শনে একাধিক টেম্পোরারি এজেন্সিকে কর্মীদের ন্যুনতম মজুরির কম পরিশোধ করতে দেখা গেছে। মৌলিক কর্মসংস্থান অধিকারও তারা অস্বীকার করে থাকে। কর্মীদের ন্যুনতম মজুরিরও কম পরিশোধ এবং ছুটি ও ওভারটাইমে অর্থ পরিশোধ না করে তারা লাখ লাখ ডলার আয় করছে। রিক্রুটারার কর্মীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে ফিও দাবি করছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। সময় এসেছে কর্মীদের বেতন থেকে চুরি করা অর্থ তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। সেই সঙ্গে সব এজেন্সি ও রিক্রুটারের জন্য সমতল ক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়া।
এলক্ষ্যে টেম্পোরারি এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সি ও রিক্রুটারদের জন্য লাইসেন্সের বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে অন্টারিও। শ্রমমন্ত্রী মন্টে ম্যাকনটন বলেন, প্রদেশে ৩ হাজারের বেশি এজেন্সি রয়েছে। এগুলোর সিংহভাগ নৈতিকতা মেনে পরিচালিত হলেও অনেকেই তা মানছে না। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, কেউ কেউ আইন ভঙ্গ করছে ও কর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। এতে পরিবর্তন দরকার।
শ্রম মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ফার্ম, রিটায়ারমেন্ট হোম, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও ওয়্যারহাউজ পরিদর্শন করে জানতে পেরেছে, কর্মীরা তাদের কাছে ৩৩ লাখ ডলারের বেশি পাবেন। এর অর্ধেক উদ্ধার হয়েছে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে এজেন্সি ও রিক্রুটারদের ইরিভোকেবল লেটার অব ক্রেডিট জমা দিতে হবে, যা থেকে পাওনাদার কর্মীদের বেতন পরিশোধ করা হবে। এছাড়া ২০২৪ সাল নাগাদ সরকার লাইসেন্স ব্যবস্থাও চালু করতে চায়। তার আগে অবৈধ চর্চাগুলো খুঁজে দেখতে একদল কর্মকর্তা নিয়োগের প্রস্তাব করেছে অন্টারিও।