11 C
Toronto
শুক্রবার, মে ২, ২০২৫

যে কারণে ফুটবলারদের সঙ্গে হোটেলে সময় কাটালেন স্ত্রী-বান্ধবীরা

যে কারণে ফুটবলারদের সঙ্গে হোটেলে সময় কাটালেন স্ত্রী-বান্ধবীরা - the Bengali Times
ছবি সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপে ইরানের বিপক্ষে দারুণ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে সঙ্গে খেই হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। আর স্টেডিয়ামে সেদিন নিজ দলের খেলা দেখে গ্যালারিতে ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের স্ত্রী, বান্ধবীরা প্রায় ঘুমিয়েই পড়েছিলেন। কেউ কেউ খেলা না দেখে মোবাইলে ব্যস্ত ছিলেন।

ইংল্যান্ডের শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ ওয়েলস। গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচটির আগে ফুটবলারদের মনোযোগ ফেরাতে সেই স্ত্রী, বান্ধবীরাই এবার নেমে পড়লেন।

- Advertisement -

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জিততে না পেরে হতাশ ইংল্যান্ডের ফুটবলাররাও। ফলে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে যেতে মঙ্গলবার ওয়েলসকে হারাতেই হবে। যদিও ইংলিশ শিবির ভাবছে, গ্যারেথ বেলের দলের বিপক্ষে ম্যাচ সহজ হবে না। আর সেই ম্যাচের আগে ফুটবলারদের মানসিক ভাবে তরতাজা রাখতে স্ত্রী, বান্ধবীদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ করে দিলেন ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট।

শনিবার দলের হোটেলে ফুটবলারদের স্ত্রী, বান্ধবীদের আমন্ত্রণ জানান সাউথগেট। এ জন্য সন্ধ্যায় কোনো অনুশীলনও রাখেননি তিনি। ফুটবলার ও তাদের স্ত্রী, বান্ধবীরা নিজেদের মতো সময় কাটিয়ে খুশি।

দোহার কোনো হোটেলে থাকছেন না ফুটবলারদের স্ত্রী, বান্ধবীরা। তাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে একটি প্রমোদতরীতে। যাতে রয়েছে ছ’টি সুইমিং পুল, বিভিন্ন রকমের ৩০টি বার।

ইংল্যান্ড দলের হোটেলে অধিনায়ক হ্যারি কেইনের স্ত্রী কেট, জর্ডান পিকফোর্ডের স্ত্রী মেগান, জ্যাক গ্রিলিশের বান্ধবী অ্যাটউডরা দল বেধে এসেছিলেন। বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বিশেষ বাসে করে তাদের নিয়ে আসা হয় হোটেলে। স্বামী, প্রেমিকদের সঙ্গে রাত কাটিয়ে, সকালে তারা ফিরে গিয়েছেন প্রমোদতরীতে। আর ফুটবলাররা গিয়েছেন অনুশীলনে।

এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের স্ত্রী-সন্তান, বান্ধবী ও পরিবারের সদস্য মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন এসেছেন। তাদের অবশ্য দলের হোটেলে থাকার অনুমতি নেই। করোনাসহ অন্য সংক্রমণ থেকে ফুটবলারদের বিশ্বকাপের সময় নিরাপদে রাখতেই এই ব্যবস্থা করেছে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। এমনকি ফুটবলারদের সঙ্গে দলের বাইরের কারও দেখা করারও অনুমতি নেই।

তা হলে কেন হঠাৎ স্ত্রী, বান্ধবীদের সঙ্গে রাত কাটানোর অনুমতি দেওয়া হল? সাউথগেট বলেছেন, ‘দলের সকলেই খুব হতাশ হয়ে পড়েছিল। আত্মবিশ্বাসেও ঘাটতি হচ্ছিল কারও কারও। ওদের মানসিক ভাবে তরতাজা রাখতেই এই ব্যবস্থা। সারা সপ্তাহের কঠোর পরিশ্রমের পর এটুকু ছাড়া দেওয়া যেতেই পারে।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles