মুম্বাই উত্তাল। চিন্তিত বি-টাউন। চাপা উত্তেজনায় ‘মান্নাত’। বলিউড বাদশার কপালে চিন্তার ভাঁজ। আপাতত শুটিং বন্ধ। ছেলে আরিয়ানের জামিনের বিষয়ে তদারকি করছেন শাহরুখ খান নিজেই। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনো মুখ খুলেননি এ অভিনেতা। তবে ঘটনার প্রভাব তার ক্যারিয়ারে পড়েছে। এমন তথ্যই দিচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, গুজরাটের ৩০০০ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধারের ঘটনার মোড় ঘুরাতেই প্রমোদতরীতে অভিযান চালানো হয়। এমন দাবিই করেছে কংগ্রেস। আর অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে। এ ঘটনাকে ‘পুরো সাজানো’ বলে মন্তব্য করেছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক।
তার মতে, বলিউডকে কলঙ্কিত করা এবং মহারাষ্ট্রের বিরোধী সরকারকে বিপদে ফেলতেই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোকে দিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করিয়েছে বিজেপি। মন্ত্রী নবাব মালিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘শাহরুখ খানকে প্রায় এক মাস আগে থেকে টার্গেট করা হয়েছিল।’ নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া আরিয়ানের সঙ্গে থাকা ওই ব্যক্তির পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মন্ত্রী।
গ্রেপ্তারের পর আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি তুলেছে যে ব্যক্তি তাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। টুইটারে এক আইনজীবী ওই ব্যক্তির ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, তার নাম এসকে গোভাসাই। পেশায় প্রাইভেট ডিটেকটিভ।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) পর্যন্ত এনসিবি হেফাজতে থাকবেন আরিয়ান। ১০ অক্টোবরে শুটিংয়ে যাওয়ার কথা ছিল শাহরুখ খানের। ছেলের জামিন না হওয়ায় সব শুটিং বাতিল করেছেন তিনি। শাহরুখের স্ত্রী গৌরিও তার ব্যবসায়িক সফর বাতিল করেছেন।
আরিয়ান বর্তমানে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) হেফাজতে আছেন। তার সঙ্গে আছেন মডেল মুনমুন ধামেচা, আরবাজ শেঠসহ বাকিরা। এনসিবি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানায়, স্যানিটারি ন্যাপকিন, অন্তর্বাসে মাদক লুকিয়ে রেখেছিলেন মুনমুন।
এদিকে এক সাক্ষাৎকারে মুনমুনের আইনজীবী ভিন্ন দাবি করেছেন। তিনি বলছেন, টাকার বিনিময়ে ওই পার্টিতে নেওয়া হয়েছিল মুনমুনকে। আরিয়ান-আরবাজের মতো মুনমুনও গোয়াগামী প্রমোদতরীতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তারও টিকিট ছিল না। বলরাম নামের এক ব্যক্তি মুনমুনের টিকিট করেছিলেন।
আইনজীবী আলি কাসিব ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মুনমুন পেশায় মডেল। পার্টি নজরকাড়া করে তুলতেই তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিনিময়ে তাকে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে বলা হয়েছিল।’
সাম্প্রতিক