ফেনীর দাগনভূঞা ও সোনাগাজীতে সংসদ সদস্যের ‘কোটায়’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধর্মীয় শিক্ষকদের হজে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য লে. জে (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বাদী হয়ে গত ২৬ এপ্রিল সোনাগাজী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে।
জানা গেছে, গত ২০ এপ্রিল থেকে একটি প্রতারকচক্র ০১৮৮৬-৪৮৫৭৫১ ও ০১৮৮৬-৩২২০১৯ মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে এমপির পিস ও এপিএস পরিচয় দিয়ে দাগনভূঞা ও সোনাগাজীর হাইস্কুল এবং মাদ্রাসার প্রধানদের জানায় এমপির কোটায় বিনা খরচে ধর্মীয় শিক্ষকদের হজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যারা হজে যেতে চান তাদের নিবন্ধন ফি বাবদ সাড়ে ৭ হাজার টাকা বিকাশ করতে বলা হয় ওই নম্বরে। অনেকে টাকা পাঠানও। কিন্তু পরে যোগাযোগ করতে গেলে নম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। এ ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন দাগনভূঞার সুজাতপুর হাইস্কুল, আলহাজ্ব সামছুল হক মিয়া আদর্শ একাডেমি, বাতশিরী হাইস্কুল, দরবেশেরহাট আলিম মাদ্রাসা, সোনাগাজীরও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক।
দাগনভুঞার সুজাতপুর হাইস্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক মামুদুল হাসান জানান, প্রধান শিক্ষকের কাছে হজে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনে তিনি ওই নম্বরে ফোন দিয়ে টাকা পাঠান। পরে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
সামছুল হক মিয়া আর্দশ একাডেমির প্রধান শিক্ষক আবু তাহের বলেন, ‘আমাকেও ফোন করা হয়েছিল, তবে আমি সাড়া দিইনি।’
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এসব কর্মকাণ্ড গর্হিত। তিনি হজে কোনো লোক পাঠান না। সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সূত্র : আমাদের সময়