পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। এটিকে সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। এতে পার্লামেন্টে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সময় আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় অধিবেশন শুরুর পরপরই অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করেন স্পিকার। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে, অনাস্থা ভোটের আগে বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও মোকাবিলায় তরুণদের পথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন ইমরান খান। এ অবস্থায় রাজধানীজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, জোট সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি শরিক দল বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ায় পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ইমরানের দল। অনাস্থা প্রস্তাব পাসে বিরোধীদের প্রয়োজন ১৭ ভোট। তাদের প্রতি ১৯৯ আইনপ্রণেতার সমর্থন আছে বলে জিও নিউজের প্রতিবদেনে বলা হয়েছে।
পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রী তাদের ক্ষমতার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। রাজনৈতিক অস্থিরতা কিংবা সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে বাধ্য হয়েছেন ক্ষমতা ছাড়তে। ক্ষমতায় আসার সাড়ে তিন বছরের মাথায় পদ ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও।
অধিবেশনের আগে টেলিভিশনে সরাসরি প্রশ্ন-উত্তর সেশনে অংশ নিয়ে ইমরান খান বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধে তরুণদের মাঠে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। টেলিভিশন বক্তব্যে তিনি বলেন, রোববারের গুরুত্বপূর্ণ ভোটের জন্য একাধিক পরিকল্পনা করেছেন তিনি এবং পুরো জাতিকে চমক দেবেন। একই সঙ্গে তিনি অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কেও সময় সংসদে উপস্থিত থাকবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এদিকে ইমরান খানের সমর্থকেরা রেড জোনে ঢুকে পার্লামেন্ট ভবন অবরুদ্ধ করতে পারেন, এই আশঙ্কায় রাজধানীর প্রশাসন রোড জোনের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছিল দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। কনটেইনার ও কাঁটাতার দিয়ে রেড জোন সিল করে দেওয়া হয়। রেড জোনের ভেতরে এবং আশপাশের এক কিলোমিটারের মধ্যে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করে স্থানীয় প্রশাসন।
ইসলামাবাদ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এক নোটিশে রেড জোন এলাকায় পাঁচজনের বেশি মানুষের সব ধরনের জমায়েত, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।