14 C
Toronto
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

পেছনের সিঁড়িগুলো নড়বড়ে হয়ে যায়

পেছনের সিঁড়িগুলো নড়বড়ে হয়ে যায়
সব কিছু লিখতে বসলে ছোট আকারের একটা বই হবে

এই লেখাগুলো অনেক আগেই আমার শেষ করে ফেলা উচিৎ ছিলো। যখন যেটা মনে আসে সেটা যদি তখনই লিখে ফেলতে পারতাম তাহলে হয়তো অনেক দূর এগুতে পারতাম। কিন্তু সে সুযোগ কোথায় ? যখন লেখার কথা মনে হয় তখন দেখা যায় আমি অন্য একটি কাজে মহা ব্যস্থ আর যখন ব্যস্ততা কমে তখন লেখাগুলো আমার মন থেকে হারিয়ে যায়। সে কারনে মনের যন্ত্রণাতে ভুগছি। যদি সব ছেড়ে ছুড়ে কোন জায়গাতে বসে নিজের মনে- নিজের মনের কথাগুলো লিখতে পারতাম। কিন্তু সেটা সম্ভব না আমার, কারন আমাকে চলতে হয় মা দুর্গার মতো দশটি হাত সাথে নিয়ে। আমার সময় কোথায় লেখা লেখির দিকে মন দেবার। আমিতো খুব ক্ষুদ্র একজন নারী। আমার জ্ঞানের আয়তন পিঁপড়ের চাইতেও ছোট। কিন্তু যারা বড় বড় কাজ করছেন, অনেক সন্মানিত অবস্থানে অবস্থান করছেন তারাও কি পারছেন সুস্থ মাথায় সংসার করতে? নাহ পারছেন না। সম্ভব না। নারীদের উপরে উঠতে হলে পেছনের সিঁড়িগুলো নড়বড়ে হয়ে যায় আবার কখনো ভেঙ্গেও পরে । আর সে ভাঙ্গা সিঁড়ি বেয়েই তাদের উপরে উঠতে হয়। যাকগে এসব কথা। আসলে আজকে আমি এসব কথা লিখতে বসিনি। রাত অনেক হয়েছে একদম ঘুম আসছে না। এই ঘুম ব্যাপারটা বেশ ঘন ঘন আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে যাচ্ছে। ঘুম না আসার কারনে ভাবলাম আবোলতাবোল যা মনে আসে কিছু লিখি।

ছোটবেলা নিয়ে আমি খুব বেশী আপ্লুত কখনো হতাম না পৃথিবীর অন্যান্য মানুষের মতো। কিন্তু আজকাল স্মৃতি কেনো যেন আমাকে টেনে নিয়ে দাড় করিয়ে দেয় আমার ছোট বেলায়। ছোট বেলার অনেক কথা মনে পরে যায়। সেটা নিয়ে কখনো নিজের মনে হাসি আবার কখনো বিষণ্ণ হয়ে পড়ি। ছোটবেলার কত গল্প কত ঘটনা, সব কিছু লিখতে বসলে ছোট আকারের একটা বই হবে। তারপরও ছোটবেলার জীবনটাকে পেছন থেকে টেনে এনে সামনে দাড় করিয়ে দিতে বড্ড ইচ্ছে হোল আজ। ছোটবেলায় আমি অনেক হাসতাম। সে হাসি ছিলো অনেক জোরে খিল খিল করে হাসা । আমাদের বাসায় রাবেয়ার মা নামে একজন কাজের বুয়া ছিলো। সে রাবেয়ার মাও আমার মতো খিল খিল করে হাসতো। আম্মা বলতেন আমার মেয়েটা রাবেয়ার মায়ের হাসিটা কি করে পেলো? ।আমার খালাতো ভাই হেলাল ভাই ,আমার চাইতে বয়সে অনেকটাই বড়। হেলাল ভাই আমার হাসি নিয়ে মজা করে বলতেন রাস্তার ওপারে থাকলেও নাকি ইথারে ভেসে ভেসে আমার হাসি হেলাল ভাইয়ের কানে যেতো। বড় হয়ে যাবার পর এমন হাসি আর কখনো হাসিনি।

- Advertisement -

ছোটবেলার কত কথা কত ঘটনা। কোন কিছু যদি সেন্সার না করে লিখি তাহলে ২০০ পৃষ্টার একটা বই লিখে ফেলতে পারতাম। কিন্তু সব কথা কি বলা যায়? আর লিখাতো একেবারেই যায়না । সে কথাগুলো চিরদিন মনের গোপন খাঁচাতেই বন্ধী করে রাখতে হয়।

ম্যাল্টন, অন্টারিও

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles