
২০২১ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কানাডিয়ান বংশোদ্ভুত শিক্ষার্থীদের তুলনায় কম উপযুক্ত আবাসনে বসবাস করতে হতো। ২৩ মে প্রকাশিত স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর ঠিকানা এমন শীর্ষ দশটি মিউনিসিপালিটিতে এই শিক্ষার্থীদের ২৫ থেকে ৬৩ শতাংশ এমন আবাসনে বসবাস করতেন, যাকে মোটেই উপযুক্ত বলা যাবে না। এর বিপরীতে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী কানাডিয়ান বংশোদ্ভুত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ধরনের পরিবেশে বসবাসের হার ১৩ থেকে ৪৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কম। উপযুক্ত পরিবেশে বাস করতে হলে প্রাপ্ত বয়স্ক একজন মানুষের নিজস্ব শয়নকক্ষ থাকতে হয়। যদি না তারা দম্পতির অংশ হন।
সাম্প্রতিক শুমারির উপাত্তের ভিত্তিতে তৈরি গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতীয় শিক্ষার্থীরা বেশি অনুপযুক্ত পরিবেশের বসবাস করেন।
ভারতীয় শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি বসবাস করে অন্টারিও ব্র্যাম্পটন ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারে মিউনিসিপালিটিতে। এখানকার ৬০ শতাংশের বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপযুক্ত পরিবেশে বসবাস করেন। অন্যদিকে সারেতে কানাডিয়ান বংশোদ্ভুত মাত্র ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার বিচারে উপযুক্ত নয় এমন পরিবেশে বসবাস করেন।
এই উপাত্ত সংগ্রহের পর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা কেবল বেড়েছে। কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি আবাসন বাজারের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করেছে, যা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা নিজেরাও ক্রয়ক্ষমতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন।
২০২৩ সালে কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লাখের বেশি, আগের বছরের তুলনায় যা ২৯ শতাংশ বেশি। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ফেডারেল সরকার এ বছরের গোড়ার দিকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তিতে রাশ টানতে স্টাডি পারমিটে দুই বছরের সীমা আরোপ করে।