
মধুমিতা সরকার
টেলিপর্দায় পা রেখেই সেলেব। প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে সিরিয়াল ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’-তে অভিনয় করে। দারুণ জনপ্রিয়তা পান। তার সঙ্গে স্টার হন বিপরীতে অভিনয় করা যশ-ও। এর পর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। স্টার জলসার আরেক মেগা সিরিয়াল ‘কুসুম দোলা’তে অভিনয় করেও দর্শকদের প্রশংসা কুড়ান তিনি। সেই সাথে অভিনয় করেছেন একাধিক ছবি ও ওয়েবে।
তিনি মধুমিতা সরকার। আগামী ২০ জানুয়ারি মুক্ত পাচ্ছে তার অভিনীত ছবি ‘দিলখুশ’। ছবিতে তার বিপরীতে আছেন সোহম মজুমদার। ছবিটি পরিচালনা করেছেন রাহুল মুখার্জি। এ ছবি ও সাম্প্রতিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেন কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার সাথে। সেই সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য।
প্রশ্ন : ২০২৩ সালে ‘দিল’ তা হলে খুব ‘খুশ’?
মধুমিতা : প্রচণ্ড খুশ। কারণ, ২০২২-এ যত পরিশ্রম করেছিলাম, এখন তার ফল পাওয়ার অপেক্ষা। জানুয়ারি মাসেই সেই ফল অবশ্য একটু একটু পেতে শুরু করেছি। ২০২২-টা যেমনভাবে পরিকল্পনা করেছিলাম তেমনভাবেই কেটেছে।
প্রশ্ন : ঠিক কী পরিকল্পনা করেছিলেন?
মধুমিতা : প্রচুর কাজ করতে চেয়েছিলাম। নিজেকে সারাক্ষণ ব্যস্ত রাখতে চেয়েছিলাম। তেমনটাই হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে কাজ করছি। তবে মুড়িমুড়কির মতো সবই একধরনের কাজ করছি না। বিভিন্ন ধরনের কাজ করছি, সেটাই ভালো লাগছে। সব ধরনের কাজের জন্য আমায় প্রচুর সময় দিতে হচ্ছে।
প্রশ্ন : প্রত্যেকের নিজস্ব কিছু লক্ষ্য থাকে। নিজের লক্ষ্য কতটা পূরণ হলো বলে মনে হয় আপনার?
মধুমিতা : এখনও কিছুই হয়নি। ঘড়ার নিচও ছুঁতে পারিনি। আমি শুধু এগিয়ে চলেছি। কিন্তু গতি এখনও লক্ষ করছি না। ঠিক যতটা গতিতে এগোনো দরকার, ঠিক ততটা হচ্ছে না। শুধু তো বাংলায় নয়, আমি বাংলার বাইরেও কাজ করতে চাই। অন্য ভাষায়, অন্য ইন্ডাস্ট্রিতে।
প্রশ্ন : অন্য ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা তো ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন, তেলুগু ছবির শুটিং করে ফেলেছেন, অভিজ্ঞতা কেমন?
মধুমিতা : এক অন্য জগৎ। আমায় মার্শাল আর্টস শিখতে হয়েছে। তাই জন্য আমায় অনেকটা ওজন বাড়াতেও হয়েছিল। আমার এই বিষয়টা শিখতে দারুণ লেগেছে। ওরা সময় নিয়ে কাজ করে। আমায় একমাস দিয়েছিল মার্শাল আর্টস শেখার জন্য। তার জন্য রক্তারক্তি, কালশিটে কী হয়নি আমার সঙ্গে। আমিও আবার অনেক সময় কারও বুকে লাথি মেরে দিয়েছি।
প্রশ্ন : ইদানীং কলকাতার অনেক নায়িকাই পা বাড়াচ্ছেন মুম্বাইয়ে, মধুমিতাও কি মুম্বাইয়ের টিকিট কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
মধুমিতা : আমি নিজেকে সব দিক দিয়ে তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমি নিজে খুব একটা কোথাও চেষ্টা করছি না। তবে হ্যাঁ, বাইরে থেকে যদি তেমন কোনো সুযোগ আসে পছন্দ হলে আমি ঝাঁপিয়ে পড়ব। একটা হিন্দি কাজও আমার হওয়ার কথা। ‘দিলখুশ’ মুক্তি পাওয়ার পরই আমি যাব কথা বলতে। নিজেকে এমনভাবে তৈরি করতে চাই যাতে সব জায়গা থেকে সুযোগ আসে।
প্রশ্ন : কিন্তু অনেকেই বলেন, মধুমিতা এতটাই স্বচ্ছন্দ হয়ে গিয়েছে যে ‘এসভিএফ’-এর বাইরে কাজ করতে চাইছেন না, কী বলবেন?
মধুমিতা : না, এমনটা কিন্তু নয়। আমি জানি না, এটা বাইরের কারও ধারণা কি না। কিন্তু আমার কাছে ভালো কনটেন্ট এলে নিশ্চয়ই করব। কাকতালীয়ভাবে যে ক’টা কাজ এসেছে, তা ‘এসভিএফ’ থেকে। তা-ও ‘এসভিএফ’-এর কেউ কিন্তু আমায় নিতে বলেননি। পরিচালকরাই মনে করেছেন আমায় সেই চরিত্রগুলোয় মানাবে। তা ‘চিনি’, ‘দিলখুশ’ সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
প্রশ্ন : অন্য প্রযোজনা সংস্থা তার মানে ভালো কনটেন্ট তৈরি করছে না বলে আপনার মনে হয়?
মধুমিতা : না, সেটা আমি একবারও বলছি না। খুব ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। মনে হয় সেই চরিত্রগুলোয় হয়তো আমায় ভালো লাগবে না।
প্রশ্ন : অর্থাৎ মধুমিতা ‘এসভিএফ’ বাইরে কাজ করতে চান?
মধুমিতা : হ্যাঁ, অবশ্যই। করব না কেন? আমি ভালো গল্প চাই। প্রযোজকও দেখি না, পরিচালকও দেখি না।
প্রশ্ন : মধুমিতা কি এখনও সিঙ্গল?
মধুমিতা : আমি কাজের সঙ্গে কমিটেড। আর বিশ্বাস করুন, আই হেট ম্যান (আমি পুরুষদের ঘেন্না করি)।