6.9 C
Toronto
শনিবার, মে ৩, ২০২৫

ধেয়ে আসছে ২৩ টন ওজনের রকেট ধ্বংসাবশেষ, ঝুঁকিতে পৃথিবীর মানুষ

ধেয়ে আসছে ২৩ টন ওজনের রকেট ধ্বংসাবশেষ, ঝুঁকিতে পৃথিবীর মানুষ - the Bengali Times
মহাকাশে চীনের পাঠানো একটি রকেটের ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে

মহাকাশে চীনের পাঠানো একটি রকেটের ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। ধ্বংসাবশেষটির ওজন ২৩ টন এবং আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে পৃথিবীর যে কোনো স্থানে এটি আছড়ে পড়বে বলে ধারণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। তবে এটি ঠিক কোথায় এসে পড়বে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ফলে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই ঝুঁকিতে রয়েছে।

গত কয়েক বছর ধরেই মহাকাশে নিজেদের স্পেস স্টেশন তৈরির কাজ করছে চীন। ইতোমধ্যে তিয়াংগং নামের এই স্পেস স্টেশনটির দুটি মডিউল মহাকাশে পাঠানো হয়েছে, তৃতীয় মডিউল পাঠাতে গত ৩১ অক্টোবর নিজেদের বৃহত্তম রকেট লংমার্চ ৫বি উৎক্ষেপণ করে চীন।

- Advertisement -

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ২৩ টন ওজনের বস্তুটি সেই লংমার্চ ৫বিরই ধ্বংসাবশেষ বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার বিশ্লেষণকারী মার্কিন ওয়েবসাইট সিএনইটি।

চীনের বৃহত্তম রকেট লংমার্চ ৫বি আকার-আয়তনে একটি ১০ তলা ভবনের সমান। সৌরজগতের গ্রহ উপগ্রহের কক্ষপথ বিশ্লেষণকারী মার্কিন সংস্থা অ্যারোস্পেস কর্পোরেশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রকেটটির যে ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতে নেমে আসছে, বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর তার একটি বড় অংশই পুড়ে ছাই হয়ে যাবে, কিন্তু ক্ষুদ্র একটি অংশ থেকে যাবে অক্ষত। সেই অক্ষত অংশটিরই ওজন প্রায় ২৩ টন।

তবে এই ধ্বংসাবশেষটি পৃথিবীর ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি বলে নিজেদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করে অ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বিশাল এই ধ্বংসাবশেষটি যদি সমুদ্রে আছড়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকি নেই। কিন্তু যদি স্থলভাগে জনবসতিপূর্ণ কোনো স্থানে এটি পতিত হয়, সেক্ষেত্রে প্রাণহানির পাশাপাশি যথেষ্ট আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’

স্পেস ডটকম জানিয়েছে, অ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের কনসালটেন্ট টেড মুয়েলহাট এক বার্তায় বলেন, ‘এই মূহূর্তে পৃথিবীর ৮৮% মানুষই ঝুঁকিতে রয়েছে, সুতরাং বলা চলে ৭০০ কোটি মানুষই ঝুঁকিতে রয়েছে।’

তিয়াংগং স্পেস স্টেশনের জন্য তৃতীয় যে মডিউলটি পাঠানো হয়েছে, সেটির নাম মেংটিয়ান। এই মডিউলটি সংযুক্ত করার মাধ্যমে ইতোমধ্যে স্পেস স্টেশনের প্রাথমিক স্তরের কাজ শেষ করেছে চীন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles