: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ | দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক |
বর্তমান বাস্তবতায় অনলাইনে কেনাকাটায় মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। করোনাকালে এ আগ্রহ আরও বহুগুণ বেড়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হল, অনলাইনে কেনাকাটায় নানা রকম প্রতারণার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।লকডাউনের কারণে গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার (জিটিএ) অধিকাংশ দোকানপাটই বন্ধ। হলিডে গিফট কিনতে অনলাইনে কেনাকাটাই এখন ভরসা। তবে অনলাইনে কেনাকাটা করতে গিয়ে যাতে কেউ চুরির শিকার না হয়, সেজন্য বেশ কিছু সাবধনতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে টরন্টো পুলিশ।
কনস্টেবল ক্যারোলিন দ্য ক্লোয়েট এ প্রসঙ্গে বলেন, আপনি যদি জানতে পারেন যে, পণ্যটি সরবরাহের সময় আপনার বাড়িতে থাকা হচ্ছে না, তাহলে এমন কোনো স্থানে সেটি সরবরাহ করতে বলুন, আপনার অফিস বা বাসা থেকে যেটি সুবিধাজনক হয়। এরপর সেখান থেকে পণ্যটি সংগ্রহ করুন। আপনার ফোনের ট্র্যাকিং আপডেটও সাইন আপ করে রাখতে পারেন, যাতে প্রতিবেশীকে পার্সেলটি সংগ্রহ করার অনুরোধ করা সম্ভব হয়।
প্যাকেজটি যিনি পাঠাচ্ছেন তাকে ফোন করে জেনে নিন, ট্রেক্সট মেসেজের মাধ্যমে শিপমেন্ট সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে কিনা। পণ্য পৌঁছানোর পর বার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীকে ফোন করে সেটি আপনার ঘরে বা তার কাছে রেখে দেওয়ার অনুরোধ করতে পারেন।
অনলাইনে পরিচয় হওয়া কারও কাছ থেকে কিছু কিনতে চাইলে তাকে বাড়িতে না ডেকে জনবহুল কোনো স্থানে তার সঙ্গে দেখা করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। দ্য ক্লোয়েট বলেন, ওই ব্যক্তির সঙ্গে যদি দেখা করতে চান তাহলে খোলা কোনো জায়গায় যান। জায়গাটা সত্যিই ব্যস্ত কিনা সেটা নিশ্চিত হয়ে নিন। অথবা কোনো কফি শপ, পার্কিং লট এমমনকি পুলিশ স্টেশনেও দেখা করতে পারেন। কেনাকাটা-সংক্রান্ত লেনদেনও সেখানেই সেরে নিন। আর অবশ্যই অর্থ পরিশোধের আগে ঠিকঠাক পণ্যটি পাচ্ছেন কিনা সেটি নিশ্চিত হয়ে নেবেন।
পুলিশের পরামর্শ, কেনাকাটা শেষে ফেরার আগে অথবা অর্থ পাঠানো বা হাতে হাতে অর্থ পরিশোধের আগে অবশ্যই পণ্যটি পরীক্ষা করে নেবেন। তা না হলে এমনও হতে পারে, আপনি হয়তো ভেতরে ল্যাপটপ আছে ভেবে বক্সটি বাড়ি নিয়ে গেলেন, কিন্তু খুলে দেখলেন ভেতরে ম্যাগাজিন।