: ১০ ডিসেম্বর ২০২০ | দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক |
করোনা প্রাদুর্ভাবের পর জরুরি অর্থ সহায়তার অংশ হিসেবে কানাডার মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশকে প্রতি মাসে জরুরি নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছে সরকার। শুধু তাই নয় ব্যবসা বাণিজ্যেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দেয়া হচ্ছে প্রণোদনামূলক ঋণ। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন প্রদেশের প্রিমিয়ারদের উদ্দেশ করে বলেছেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জনস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে প্রয়োজনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথাও তিনি বলেছেন। প্রয়োজনে ফেডারেল সরকার সহায়তা দেবে। মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ব্যবসাগুলোর জন্য প্রণোদনা অব্যাহত রেখেছে ট্রুডো সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড তার প্রথম মিনি বাজেটে মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ব্যবসাগুলোর জন্য আরও তহবিলের ব্যবস্থা রেখেছেন। এর মাধ্যমে তিনি মহামারির কারণে উদ্বেগ ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার মধ্যে একটা ভারসাম্য আনার চেষ্টা করেছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের রেকর্ড ৩৮১ বিলিয়ন ডলারের যে বাজেট ঘাটতি, সুদের হার কম হওয়ায় তা সহনীয় বলেও মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী। সেই সঙ্গে এক যুগ আগে মন্দার সময় কনজার্ভেটিভ সরকারের প্রণোদনা সহায়তা দ্রুত প্রত্যাহারেরও সমালোচনা করেন তিনি। ২০০৮ সালের মন্দার সময় করা ভুল তারা আর করতে চান না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ফ্রিল্যান্ড।
কবে নাগাদ সরকারি সহায়তা বন্ধ হবে সে ইঙ্গিতও উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী। তার ভাষায়, মহামারি-উত্তর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রণোদনা তখনই বন্ধ হতে শুরু করবে, যখন কর্মসংস্থানের সংখ্যার ভিত্তিতে রাজকোষ যথেষ্ট সুরক্ষিত বলে প্রতীয়মান হবে। কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট মন্দা থেকে কর্মসংস্থান পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কিনা, উপাত্তই তা বলে দেবে।
উল্লেখ্য, কানাডায় করোনা মহামারীর দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না, বরং উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে ক্রমবর্ধমানহারে করোনাভাইরাস বেড়েই চলেছে। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, সরকার কর্তৃক বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেয়া সত্ত্বেও করোনাভাইরাসকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রিত করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দারা আশঙ্কার মধ্য দিয়ে দিনযাপন করছেন।