নরসিংদীর রায়পুরায় প্রকাশ্যে রোজিনা বেগম (২৮) নামে এক নারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে নাজমুল হোসেন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের রহিমাবাদ বাজারে।
বুধবার এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌঁছায়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রোজিনা বেগম স্থানীয় রহিমাবাদ বাজারে রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। এ সময় লাঠি হাতে নাজমুল হোসেন দৌঁড়ে এসে ওই নারীকে বেধরক পেটাচ্ছেন। প্রাণ বাঁচাতে রোজিনাকে তখন এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। পরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুক্তভোগী রোজিনা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের রহিমাবাদ গ্রামের সবজি বিক্রেতা মো. আফসার উদ্দিনের স্ত্রী। অভিযুক্ত নাজমুল তার প্রতিবেশী রতন মিয়ার ছেলে।
পারিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গত সোমবার (২০ ডিসেম্বর) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোজিনার সঙ্গে তার প্রতিবেশী রতন মিয়ার স্ত্রীর নাজমা বেগমের ঝগড়া হয়। পরে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সামান্য মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি নাজমা তার ছেলে নাজমুলকে জানান। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগী রোজিনা রায়পুরা থানায় নাজমুলসহ তার বাবা-মা ও এক ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এরই জের ধরে একই দিন রহিমাবাদ বাজারে প্রকাশ্য রোজিনাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন নাজমুল।
ভুক্তভোগী রোজিনা বেগম বলেন, ‘নাজমুল আমাকে বাজারে একা পেয়ে কুকুরের মতন পিটিয়েছে। এ সময় তার ভয়ে প্রথমে কেউ এগিয়ে আসেনি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
রোজিনার স্বামী আফসার উদ্দিন বলে, ‘নাজমুল খারাপ প্রকৃতির লোক। তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কথা বলে না।’
রহিমাবাদ বাজারের ব্যবসায়ী আল আমিন বলে, ‘এ ঘটনার সময় আমি দোকানেই ছিলাম। নাজমুল লাঠি দিয়ে ওই নারীকে পিটিয়েছে। পরে আমিসহ আরো কয়েকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করি।’
এদিকে, অভিযুক্ত নাজমুলের বাড়িতে গিয়ে কারো দেখা পাওয়া যায়নি। তার প্রতিবেশীরা জানান, নাজমুলসহ তার পরিবারে সদস্যরা লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়েছে।
রায়পুরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার জানান, শুনেছি বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ বসে মীমাংসা করার কথা। যদি বাদী পক্ষ রাজি না হন তবে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র : নতুন সময়