
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহাবুর রহমান রাজশাহীর তানোর উপজেলার একটি বাসায় নারীসহ স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই নারীকে চার লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের কাবিননামা সংবাদমাধ্যমের হাতে এসেছে। বুধবার (৭মে) সামাজিক মাধ্যমে রাবির এ শিক্ষকের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
অধ্যাপক মাহাবুর রহমান কুড়িগ্রামের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মো. হাসান আলীর ছেলে। অন্যদিকে তার সঙ্গে আটক হওয়া ওই নারীর নাম শারমীন আক্তার (৩৩)। তিনি তানোর উপজেলার আয়েশ উদ্দিন বাবুর মেয়ে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কালো পাঞ্জাবি ও টুপি পরা অবস্থায় ওই নারীর বাসায় বসে আছেন অধ্যাপক মাহাবুর। আটকের পর স্থানীয়রা তার নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি নিজের নাম বলেন। পিতার নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, হাসান আলী। বাড়ি কোথায় এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, কুড়িগ্রামের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নে। আপনি এ বাসায় কেন? কেন আসছেন? বার বার এ প্রশ্ন করলেও কোনো উত্তর দিতে দেখা যায়নি তাকে। বিষয়টি নিয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষককের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হোসেন বকুল বলেন, ‘আমিও আমার কয়েকজন সহকর্মীর মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত না। এ বিষয়ে মাহাবুর রহমানের সাথে কথা হয়নি। এগুলো বিভাগের বিষয় না, এসব তার ব্যক্তিগত বিষয়।
এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়া ও একাধিক নারী কেলেঙ্কারিসহ অনৈতিককাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।