
বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে সংসার করেছেন ৯ মাস। করেছেন হানিমুন, বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণসহ সব ধরনের আড্ডা ও সাংসারিক কাজকর্ম। দীর্ঘ ৯ মাস সংসার করার পর ঘটে লঙ্কাকাণ্ড। মূলত স্বামী ছিল না সেই যুবক। নাটক তৈরি করা নকল স্বামী আর স্ত্রী দুইজনের মধ্যে বিরোধ লাগার কারণেই আসল ঘটনার প্রকাশ ঘটে। সংশ্লিষ্ট ফুলপুর সদর কাজী অফিসে বিয়ের নকল তুলতে যান তরুণী। কাজী নকল দিতে গিয়ে টালবাহানা আর কালক্ষেপণ করলে স্থানীয় হালুয়াঘাট দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধির দ্বারস্থ হন।
পরে মানবজমিন প্রতিনিধি কাজী অফিসে গিয়ে নকল দেখতে চাইলে সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিস্টার জানান, মূলত এটি বিয়ে হয়নি। কাজী পরিচয়ধারী কতিপয় ব্যক্তির সহযোগিতায় ফুলপুর সদর এলাকায় একটি অফিস কক্ষে কাজী অফিস সাজিয়ে বিয়ের নাটক তৈরি করেছিলেন স্বামী সেজে আসা সেই যুবক। কনে হালুয়াঘাট উপজেলার ধনভাঙ্গা গ্রামের আকলিমা খাতুন ও নকল স্বামী একই উপজেলার কুমারগাতি গ্রামের আয়নাল হক। আয়নাল হকের প্রতারণার জালেই মূলত পা দিয়েছিলেন আকলিমা।
এ ঘটনার বিষয়ে প্রতারণার স্বীকার আকলিমা খাতুন বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর জানতে পারেন, স্বামী ছিল না সেই যুবক। মূলত নকল কাজীর মাধ্যমে নকল কাবিননামা তৈরি করে গড়ে তুলেছিলেন এমন অনৈতিক সম্পর্ক। তরুণীর অভিযোগ, অর্থ হাতিয়ে নিতে আর অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতেই গেল বছরের ১২ই ফেব্রুয়ারি তারিখে ফুলপুর উপজেলা সদরে কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ের নাটক সাজান। আকলিমা বলেন, স্বামী সেজে আয়নাল হক ইতিমধ্যে হাতিয়ে নেন দুই লক্ষাধিক টাকা। নতুন করে আরও ১০ লাখ টাকার দাবি করলে আয়নালের ওপর সন্দেহ সৃষ্টি হয় তরুণীর। একপর্যায়ে কাজী অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বিয়েই হয়নি তার। নকল কাজী সাজিয়ে বিয়ের নামে নাটক তৈরি করেন আয়নাল। অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্যেই এমন পন্থা বেছে নেন প্রতারক আয়নাল।
আয়নালের বাড়িতে খোঁজ নিলে আয়নালের দাদা আব্দুস সামাদ বলেন, তার পূর্বের আরেকটি স্ত্রী সন্তান রয়েছে। নতুন করে কাউকে বিয়ে করেননি জানান পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আয়নাল মুঠোফোনে জানতে পেরে কাজীর মাধ্যমে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেন। তবে হুজুরের মাধ্যমে বিয়ে করা হয় বলে জানান অভিযুক্ত আয়নাল। সূত্র : মানবজমিন