
পঞ্চগড়ে নিজের কোচিং সেন্টারে এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানকে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। গণপিটুনির শিকার মোস্তাফিজুর রহমান পঞ্চগড়ের একটি সরকারি বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক। একই সঙ্গে তার একটি কোচিং সেন্টার রয়েছে। ওই শিক্ষক জেলার একটি বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক। সে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের পাহাড়ডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। জেলা শহরে একটি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি, আপত্তিকর মেসেজ বিনিময়সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে ওই শিক্ষক তার ভাড়া করা টিনশেড বাসায় উচ্চতর গণিত বিষয়ে পাঁচজন ছাত্রী নিয়ে কোচিং সেন্টারের নামে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন। কোচিং শেষে চারজন ছাত্রী চলে গেলেও বাকী একজন ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা শুরু করেন তিনি। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন মুঠোফোনে। পরে তাকে গণপিটুনি দিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নিয়ে গেলে সেখানে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। এর আগেও ছাত্রীরা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
প্রত্যক্ষদর্শী আসিফ আহমদ ও মজাহারুল ইসলাম সেলিম জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। আজ তাকে আটক করার আগে প্রমাণের জন্য ভিডিও করা হয়। পরে তাকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।
এর আগে এক ছাত্রীকে ভিডিও পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল বলে জানান ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল আনাম মো. আফতাবুর রহমান হেলালী। তিনি বলেন, প্রশাসন থেকে তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। আজ বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে। বিষয়টি এখন আইনগতভাবে নিষ্পত্তি হবে।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচএসএম সোহরাওয়ার্দী সাংবাদিকদের বলেন, প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমানকে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়রা আটক করে আমাদের দিয়েছেন। আমরা তার মোবাইলে পর্ন ভিডিও পেয়েছি। প্রত্যক্ষদর্শীরাও কিছু ভিডিও সংগ্রহ করে আমাদের দিয়েছে। আমরা ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।